শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুদকের দায়ের করা মামলায় কারান্তরীণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার মো. ওয়াসিম খান ও দালাল মো. সেলিম উল্লাহর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র স্পেশাল জজ মুহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজার এর আদালত আসামি ও দুদক পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে এই আদেশ প্রদান করেছেন।
কক্সবাজারস্থ দুদক পিপি এডভোকেট মো. আবদুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে উভয়পক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দুদক পক্ষে কক্সবাজারস্থ দুদক পিপি এডভোকেট মো. আবদুর রহিম এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট শামশাদ সুলতানা।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শামশাদ সুলতানা জানান, আমরা আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের বিরোধিতা করি। বিজ্ঞ আদালত তা নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী এডভোকেট মো. আবদুর রহিম জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ একটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ ঘুষের টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত চেক ও নানা কাগজপত্রসহ হাতেনাতে সার্ভেয়ার মো. ওয়াসিম খানকে আটক করে।
একই দিন সার্ভেয়ার ফেরদৌস খানের শহরের তারবনিয়ারছড়াস্থ বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬শ টাকাসহ চেক বই এবং এলএ সংক্রান্ত নানা কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় সার্ভেয়ার ফেরদৌস খান ও অপর সহযোগি মো. ফরিদ উদ্দীন পালিয়ে যায়।
পরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারী পরিচালক মো: শরীফ উদ্দীন বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে গত ১০ মার্চ স্পেশাল মামলা নং ৬ দায়ের করেন। মামলায় তিন সার্ভেয়ারকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে একে অপরের সহযোগিতায় প্রতারণার মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কক্সবাজার জেলার ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের নিকট থেকে ৯৩ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে ভোগ দখলে রাখার অপরাধ আনা হয়।
এদিকে গত (২২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন, মো. হুমায়ন কবির ও উপ-সহকারী পরিচালক মো: শরীফ উদ্দীনের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল মামলার তদন্ত প্রাপ্ত আসামি দালাল মো: সেলিম উল্লাহকে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ ইডেন গার্ডেন সিটি ভবনের দলিল লেখক শওকত ওসমানের চেম্বার থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রশাকের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জমির মালিকদের হয়রানি করে তাদের নিকট থেকে কমিশন বাবদ ঘুষ গ্রহণ ও প্রদানের মাধ্যমে নিজে লাভবান হয়ে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের লাভবান করে আসার অভিযোগ আনা হয়।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply