বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‘শিক্ষক সংকট দূর করতে প্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দিন’

বাংলা ট্রিবিউন : নতুন করে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে প্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে সাদা পতাকা প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন ২০১৪ সালের স্থগিত ও ২০১৮ সালে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। শুক্রবার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় এই কর্মসূচি পালন করে ‘২০১৪ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্যানেল বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটি’।

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে প্যানেল প্রার্থীরা জানান, ২০১৪ সালে স্থগিত ও ২০১৮ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায়  অংশ নিয়েছিলেন ১৩ লাখ প্রার্থী। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। শূন্যপদ থাকার পরও নিয়োগ দেওয়া হয় মাত্র ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ। উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন আজও  প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

প্যানেল প্রত্যাশীরা জানান, পদ শূন্য থাকার পরও ২০১০-২০১১ সালের প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ না দিয়ে ২০১৪ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সে কারণে ওই সময়ের প্যানেল প্রার্থীরা মামলা করেন। সেই মামলা জটিলতায় ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া পরবর্তী চার বছর স্থগিত রাখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মামলার রায়ে প্যানেলভুক্ত ৪২ হাজার ৬১১ জনকে ২০১৮ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আবারও পরীক্ষা অনিুষ্ঠিত হয়। এতে অনেকের জীবন থেকে চার বছর নষ্ট হয়ে যায়।

প্যানেল বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক সালেহা আক্তার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না, প্রত্যেককে চাকরি দেওয়া হবে। অথচ মন্ত্রণালয় প্যানেল না করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সাদা পতাকা প্রদর্শন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। করোনার এই মহামারির সময়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে উত্তীর্ণদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে বেকারত্ব দূর করা হোক। বেকারত্বের অভিশাপ দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি। ’

এর আগে গত ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে  স্মারকলিপি দেন প্যানেল প্রার্থীরা। ওইদিনই প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

প্যানেল প্রত্যাশীদের দাবি, বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। করোনাকালে তীব্র শিক্ষক সংকট দূর করতে যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে চাকরি দিতে চান, অথচ মন্ত্রণালয় বেকার বানিয়ে রেখেছে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।

সাদা পতাকা প্রদর্শন ও মানববন্ধনে অংশ নেন নিয়োগ প্যানেল বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক সালেহা আক্তার, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আকতারউজ্জামান, মহুয়া আক্তার, জাকির হোসেন রিয়াদ, মো. মহসিন, আমেনা আক্তার, ফাতেমা আক্তার বিথি, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাসেল আনসারী, পাপড়ী, রুপ্তি বিশ্বাস, মুন্নি আক্তার, ইয়াসমিন পপি, আকলিমা আক্তার, আফরোজা আক্তারসহ অন্যান্য প্যানেল প্রার্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888