সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নারীর জমি দখলে নিতে কৃষকদল নেতা পরিচয়ে ভোর রাতে হামলা, ভাংচুর ও গুলি বর্ষণ; আটক ১ হজ্ব যাত্রীদের হয়রানী করলে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ধর্ম উপদেষ্টা চকরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, শিক্ষকদের কর্মবিরতি মিয়ানমার অভ্যন্তরে ‘তোঁতার দিয়া’ সীমান্তেমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি জেলের পা বিচ্ছিন্ন উখিয়ায় ‘জমি বিরোধের জেরে’ সংঘর্ষে জামায়াত নেতা সহ নিহত ৩, আটক ৪ টেকনাফে আবারও দুইজনকে অপহরণ; ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ঈদগাঁওতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১ উখিয়ায় ‘জমি বিরোধের জেরে’ সংঘর্ষে জামায়াত নেতা সহ নিহত ৩ লোকে-লোকারণ্য সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের রাষ্ট্রের যত বড় কর্তাই হউক তাদেরকে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করতেই হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

শুধু রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রয়োগ হবে রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম

বিডিনিউজ: এখন থেকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম বা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রয়োগ হবে।

এজন্য ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের এক নম্বর নোটস প্রতিস্থাপন করে সোমবার গেটেজ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এতদিন ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের এক নম্বর নোটস-এ বলা ছিল, রাষ্ট্রীয় ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারের অন্যসব ক্ষেত্রেও এটি পালন করা হবে।

সেই নোটসটি প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে, এটি শুধু রাষ্ট্রীয় ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে পালন করা হবে। ‘সরকারের অন্যসব ক্ষেত্রে’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সব রেফারেন্স দিয়ে সামারি তৈরি করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

শফিউল জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৪ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স জারি করা হয়। তখন শুধু রাষ্ট্রীয় ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এর প্রয়োগ হত।

১৯৭৫ সালের ১৬ অক্টোবর এবং ১৮৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২ অক্টোবর এটি সংশোধন করে রাষ্ট্রীয় ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারের অন্যসব ক্ষেত্রে কথাটি যোগ করা হয়।

ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স নিয়ে জজদের মামলার কথা তুলে ধরে যুগ্ম-সচিব শফিউল আজিম বলেন, “আমরা এখন বঙ্গবন্ধুর করা মূল ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে ফিরে গেলাম।”

তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কে কোথায় বসবেন তা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে প্রোটোকল দেওয়া হয়; তখন কে কোথায় দাঁড়াবেন তা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের আলোকে ঠিক করা হয়।

একজন কর্মকর্তা বলেন, সামরিক শাসক এরশাদের আমলে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে ‘অল পারপোজ অব দ্য গভর্মেন্ট’ কথাটি যোগ করায় বিভিন্ন ব্যক্তি এর সুবিধা নিচ্ছেলেন। এনিয়ে নানা সমালোচনা থাকায় ওই কথাটা বাদ দেওয়া হয়েছে।

১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে একটি রিট আবেদন করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয় হাই কোর্ট।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে আটটি নির্দেশনা দেয়। সে অনুসারে নতুন তালিকা তৈরি করতে সরকারকে ৬০ দিন সময় বেঁধে দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত তা মঞ্জুর করে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সুযোগ দেয়।

সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সবার উপরে রেখে এবং জেলা জজ ও সচিবদের মর্যাদা সমান করে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনের চূড়ান্ত রায় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স নিয়ে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি এই রায় দিয়েছিল।

তবে রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায়কে ‘নীতির বাইরে’ বলে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি সংসদে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওইদিন তিনি বলেন, “নিজেরাই নিজেদের প্রমোশন দেওয়া সমীচীন নয়, সম্পূর্ণ এথিকসের বাইরে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888