মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার খুবই জরুরি। কারণ এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে এটি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বারবার এই পরামর্শ দিচ্ছেন। যারা সবসময় চশমা ব্যবহার করেন মাস্ক পরলে তারা কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। মাস্ক পরার পর অনেকেরই চশমার কাঁচ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। কারণ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে গেলে চশমায় গিয়ে জমা হয় বাতাস। এতে এক পর্যায়ে চশমা ঘোলাটে হয়ে যায়। এজন্য কিছুক্ষণ পর পর চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে হয়। এতে চোখে ভাইরাস যাওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
চশমা ঘোলাটে হওয়ার এই সমস্যা এড়ানোর কার্যকর কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-
সাবান পানি : মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচ সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,সাবান পানি দিয়ে চশমার কাঁচ ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলে কুয়াশা প্রতিরোধ হবে। এর কারণ হলো, সাবান সারফেস অ্যাক্টিভ অ্যাজেন্ট (সারফেক্ট্যান্ট) হিসেবে কাজ করে ও চশমার কাঁচে একটি পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। এটি চশমা ঘোলাটে হওয়া রোধ করে।
শেভিং ক্রিম : চশমার কাঁচে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগাতে পারেন। এরপর শুষ্ক কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন। এতেও চশমার ঘোলাটে ভাব দূর হবে।
বেবি শ্যাম্পু : বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেও সারফেক্ট্যান্ট উপাদান থাকে। মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচ বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চশমার কাঁচে সামান্য পরিমাণ বেবি শ্যাম্পু লাগিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টুথপেস্ট : ঘোলাটে চশমা পরিষ্কারের আরেকটি সহজ উপাদান হলো টুথপেস্ট। সামান্য পেস্ট চশমার কাঁচে লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষুন। এতে চশমা পরিষ্কার এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
ক্লিনার : প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। চশমার দোকানে এই ক্লিনার পাওয়া যায়। এটির ব্যবহারে চশমা ১ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত ঘোলাটে হবে না।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply