শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
টেকনাফ প্রতিনিধি : টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, টেকনাফ উপজেলা সেক্টর কমান্ডার ফোরাম একাত্তরের সভাপতি এবং স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নুরুল আবসার সোহেলের চোখ উপড়ে নিয়েছে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারির একটি চক্র।
সড়কে ময়লা আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদ করার জের ধরে শনিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আহত আওয়ামীলীগ নেতার ছোট ভাই এম কায়সার।
তিনি জানান, তার বড় ভাই সোহেল বর্তমানে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর বাম চোখ উপড়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সর্বশেষ করা তালিকায় ১ হাজার ১৫১ জনের ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ওই তালিকায় ৫৪২ নম্বরে আব্দুল করিম ওরফে মোবাইল করিম পিতা মৃত সুলতান আহমদ সাবরাং লেজিরপাড়া বর্তমানের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়া। আব্দুল করিমের অবৈধ কালো টাকার প্রভাবে তার ভাই আব্দুল আমিনকে দিয়ে ফার্মেসির ব্যবসার আড়ালে হুন্ডিসহ ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। টেকনাফ পৌরসভার বাস স্টেশনের আবু হানিফ মার্কেটের নিচতলার ফার্মেসি থেকে সড়কের উপর ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে নুরুল আবছার ও আব্দুল আমিনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় নুরুল আবসার কায়ুকখালীয়াপাড়া বাড়ির সামনে চলে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল করিম, তার ভাই আবদুল আমিনসহ ভাড়াটিয়া ১০-১২ জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে নুরুল আবসারের উপর হামলা চালিয়ে আহত করার পাশাপাশি বাম চোখ উপড়ে করে নিয়ে যায়। বর্তমানে নুরুল আবসার সোহেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান, সারা দেশে যে প্রতারক সাহেদ আলোচিত হচ্ছে ওই সাহেদের মতো টেকনাফের সাহেদ মোবাইল করিম। এক সময় ছাত্র শিবির, এখন জামায়াত করে করিম। কিন্তু সাবেক এমপির পৃষ্টপোষকতায় এই করিম প্রতারণার সর্বোচ্চ অবস্থানে গিয়েছে। এখন এত বেশি বেড়ে গেছে আওয়ামীলীগ নেতার চোখ উপড়ে নিল। এঘটনার তীব্র নিন্দা পাশাপাশি প্রতারক ও ইয়াবা কারবারি করিমকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
এব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত রয়েছে। এখানে উভয় পক্ষের অপরাধ রয়েছে। উভয় পক্ষ মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
.coxsbazartimes.com
[…] […]