রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
বিডিনিউজ: বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের প্রথম সভাপতি, সাবেক যুবমন্ত্রী আবুল কাশেম মারা গেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ঘটনায় ব্যাপক আলোচিত কাশেম দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে গুটিয়ে থাকা অবস্থায় বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে শনিবার মারা যান।
কাশেমের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
পরিবারের সদস্য আবদুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবুল কাশেম দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বনানীর বাসায় শনিবার রাত ৪টায় তার মৃত্যু হয়।
আবুল কাশেমকে কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে স্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠনের পর এর আহ্বায়ক করেছিলেন কাশেমকে। পরে সভাপতির দায়িত্বও পান তিনি।
যুব মন্ত্রণালয় গঠনের পর কাশেমকে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন জিয়া। পরে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পান।
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার তেজগাঁও আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাশেম।
জিয়ার মৃত্যুর পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সরকারেও যুবমন্ত্রী ছিলেন কাশেম।
তখন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইমদাদুল হক ইমদুকে (পরে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত) মন্ত্রী কাশেমের সরকারি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের পরপরই বিএনপির সাত্তারের সরকারের পতন ঘটেছিল।
১৯৮২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পরপরই ‘দুর্নীতি নির্মূলের’ ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলেন।
মন্ত্রীর বাড়িতে সন্ত্রাসীকে ঢুকিয়ে এরশাদই গ্রেপ্তারের নাটক সাজিয়েছিলেন বলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে।
বিএনপিতে শুরু সম্পৃক্ত কাশেম পরে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply