মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম মেডিকেলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৫

বিডিনিউজ : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় দুটি হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা দিতে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেলে যান। তারা পরিচালকের কক্ষে প্রবেশের পর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হন।

উপ-মন্ত্রী পরিচালকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যাবার সময় দুই পক্ষ স্লোগান দিতে থাকে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানান সেখানে উপস্থিত কয়েকজন।

মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “উপ-মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”

তিনি বলেন, দুই পক্ষের উত্তেজনা থামতে গিয়ে পুলিশ ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে। এতে কয়েকজন ‘সামান্য আহত’ হন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংঘর্ষে আহত উভয়পক্ষের পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। কমিটিতে শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর পক্ষের কেউ না থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে তার বেশ কিছু অনুসারী আছে ছাত্রলীগের মধ্যে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমীন শিমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রী মহোদয় ক্যাম্পাসে আসার পর আমরা তাকে স্বাগত জানাই এবং পরিচালকের কক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে দিই।

“কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী মহোদয় বিদায় নেওয়ার পর তাদের সাথে থাকা কিছু বহিরাগত আমাদের কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। এতে আমাদের ছয়জন কর্মী আহত হয়েছেন।”

ছাত্রলীগের অপর অংশের খোরশেদুল ইসলাম বলেন, “উপমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর নাছির গ্রুপের ইন্টার্ন ডাক্তার, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ ২০-২৫ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ছয়জন আহত হয়। চিকিৎসা নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। পরে চিকিৎসা নিয়ে পুলিশ প্রহরায় আমরা বেরিয়ে আসি।”

খোরশেদুল বলেন, তিনি নিজে এবং তার গ্রুপের ফরহাদুল ইসলাম, ইমন সিকদার, অভিজিৎ দাশ, কনক দেবনাথ ও হোসাইফা কবীর এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার বিষয়ে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888