বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
সমকাল : প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার প্রকট সংক্রমণের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার চলছে স্বাধীনতা দিবসের উৎসব। আগের দিনই দেশটিজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। নতুন করে আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে দুই ক্যারোলাইনাসহ অন্তত সাত রাজ্য। এরমধ্যে মিয়ামিতে সংক্রমণ রোধে জারি করা হয়েছে কারফিউ। স্বাধীনতা উৎসবে জনসমাগমে আরও বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা কমে এলেও আক্রান্তের হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই অর্ধ্বলক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন টানা চারদিন ধরে। এরমধ্যে শুক্রবারই আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৮৩ জন। আগের দিন আক্রান্ত শনাক্ত হন ৫৫ হাজার ৪০৫ জন। দেশের ৫০ রাজ্যের মধ্যে ৩৭টিতেই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তবে সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমা রাজ্যগুলোতে। উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, আলাস্কা, মিসৌরি, আইডাহ ও অ্যালাবামা –এই সাত রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।
উত্তর ক্যারোলাইনায় শুক্রবার একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ২০৯৯ জন। এরমধ্যে ৯৫১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
এ রাজ্যের উইলমিংটন শহরের মেয়র বিল সাফো বলেন, এরইমধ্যে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে মানুষ জড়ো হলে সেই সংক্রমণ আরও বাড়বে। তিনি মানুষজনকে মাস্ক পরার ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান।
এদিকে টেক্সাসের হাসপাতালগুলোতে আরও করোনা রোগীর সংকুলান হচ্ছে না। এতে সেখানকার চিকিৎসকরা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে পুরো রাজ্যে লকডাউন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এরইমধ্যে মিয়ামিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মিয়ামিয়ার ডেডে কাউন্টি মেয়র কার্লোস জিমেনেজ বলেন, শুক্রবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিনোদনকেন্দ্র, ক্যাসিনো বা স্ট্রিপটিজ ক্লাবগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। জনসম্মুখে বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। আরকানসাসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান মতে, করোনায় সংক্রমণ ও প্রাণহানিতে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার পর্যন্ত ২৮ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ১ লাখ ৩২ হাজার। সারাবিশ্বে আক্রান্ত ১ কোটি ১২ লাখ এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৯ হাজার।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply