শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পেকুয়া উপজেলায় পরিবহণ লাইন নিয়ন্ত্রণের বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে শ্রমিকদলের নেতা শহিদুল ইসলাম শওকত (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় আর দুই জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ওয়াপদা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম শওকত পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়্যাঘোনা এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে। তিনি পেকুয়া উপজেলার সদর পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আহত হয়েছেন তাঁর ভাই মোহাম্মদ শাকের (২৭) ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তারেক (২৩) আহত হন। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ওরফে শওকত (৩৮) নিহত হয়েছেন। এসময় তাঁর ভাই মোহাম্মদ শাকের (২৭) ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তারেক (২৩) আহত হন। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানিয়েছেন, ছুরিকাঘাতে আহত শওকতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ওখানে মৃত্যু বরণ করেন। হামলার কথা শুনার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। কারা খুন করেছে, কি কারণে এবং কেন খুন করা হয়েছে সবই আমরা সংগ্রহ করছি। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তে শেষে পেকুয়ায় আনা হচ্ছে। এব্যাপারে লিখিত এজাহার পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শ্রমিকদলের নেতা ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, অপর পক্ষটির নেতৃত্ব দেন সাবেক সহসভাপতি বদিউল আলম ও সাজ্জাদুল ইসলাম। এই দুটি পক্ষ যথাক্রমে পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ওসমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদের অনুসারী। সরকারের পতনের পর থেকে শ্রমিকদলের দুই পক্ষই পেকুয়াসিএনজি, টেম্পু, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এর জের ধরে ও দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, হতাহত ও হামলাকারী-সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এখানে শ্রমিক সংগঠনের কোনো বিষয় সম্পৃক্ত নেই। আমার সঙ্গে যে ওসমানের বিরোধের কথা বলা হচ্ছে, সেই ওসমানের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। হামলার কথা শুনে আমি আর ওসমান দুজনে একসঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply