শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফে কিশোরকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের হ্নীলা থেকে এক কিশোরকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। এর তিন দিন পর মুক্তিপণ হিসেবে আট লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবার।

অপহৃত পারভেজ মোশাররফ (১৫) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মরিচ্যাঘোনা এলাকার মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। সোমবার রাতে মোহাম্মদ হোছন এ ঘটনায় বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারভেজ ও আরেক কিশোর (১৭) প্রায় দেড় বছর ধরে টেকনাফ সদরের দরগাছড়ায় জেলে হিসেবে কাজ করে। গত শনিবার বিকেলে ওই কিশোর বসতঘরে এসে পারভেজকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পারভেজ ঘরে ফিরে আসেনি। তার মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওই কিশোরের মুঠোফোন থেকে মোহাম্মদ হোছনের নম্বরে ফোন করে আট লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করিলে তাঁর ছেলেকে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ হোছন বলেন, ইমু অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে ছেলেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারধর করে ভিডিও দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ছেলে অপহরণকারীদের হাতে বন্দী অবস্থায় রয়েছে। তার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। ছেলেকে জীবিত ফেরত পাওয়ার জন্য পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ওই ঘটনায় পারভেজের পরিবারের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি অপহরণ নাকি মাদকসংক্রান্ত, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৫০ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪৬ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888