শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ

কক্সবাজারের ৪ টি আসনের ৫৫৬ কেন্দ্রের ৯০ শতাংশই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

ভোট গ্রহণে ১১০৭১ কর্মকর্তা ৩৩ ধরণের সরঞ্জাম সহ কেন্দ্রে

নিরাপত্তায় ৩৮ ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য

বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের ৪ টি সংসদীয় আসনের ৫৫৬ টি কেন্দ্রে ৩৩ ধরণের সরঞ্জাম সহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। শনিবার বিকালের মধ্যে এসব কর্মকর্তারা সরঞ্জাম ও কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ-আনসার সদস্যদের নিয়ে পৌঁছে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান।

তিনি জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে সকল কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার পৌঁছানো হবে।

কক্সবাজার জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজারের ৪ টি আসনের ৫৫৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কাজে মোট ১১ হাজার ৭১ জন কর্মকর্তা থাকবেন। এসব কর্মকর্তারা শনিবার সকালে জেলার ৯ জন সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরঞ্জাম বুঝে কেন্দ্রে গেছেন। জেলার ৪ টি আসনে ৩৮ জন ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এসব কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ শতের কাছা-কাছি পুলিশ আনসার দায়িত্ব পালন করছেন। এর সাথে বিজিবি-র‌্যাব, উপক‚লীয় এলাকায় নৌ-বাহিনী ও অন্যান্য উপজেলায় সেনা বাহিনী রয়েছেন। তাদের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।

কক্সবাজার জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলায় ৪ টি আসনে ৫৫৬ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩ হাজার ৫০৫ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭ হাজার ১০ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই কিংবা কোনো ধরনের গোলযোগের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এবারে কক্সবাজারের চার সংসদীয় আসনে মোট প্রাথী ২৬ জন। প্রাথীদের মধ্যে কক্সবাজার-১ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে সাতজন, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে ছয়জন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ছয়জন এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।

৯০ শতাংশ ভোট কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ :

কক্সবাজারের চারটি আসনের ৫৫৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯০ শতাংশই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসনে শতভাগ কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য মতে, চারটি আসনে মোট ভোটার ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৬০ জন। কক্সবাজার-১ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৮টি। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৪টি। যার মধ্যে ২২টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও বাকি ২২টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৪টি। এর মধ্যে ৯৬টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ১৮টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৩৮ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৮টি। এর মধ্যে মহেশখালীর ৮১টি ভোটকেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্রকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৩৭টি কেন্দ্রের সবকটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ভোটার রয়েছেন চার লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে রামুতে ৬৪টি, কক্সবাজার সদরে ৭৬টি ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি ভোটকেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৭১ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০৪টি। এর মধ্যে টেকনাফের ৫৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও উখিয়ার ৪৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888