রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ বুদ্ধাঙ্ক (IQ) এর পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিভাবান শিশুদের বুদ্ধাঙ্ক মাত্রা চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জীবন সংগ্রামি লাইলার কম মূল্যের সবজির দোকান শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ

বালুখালীর ৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়েছে অন্তত ৪ হাজার ঘর-দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার বালুখালীর চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে অন্তত ৪ হাজারের বেশি ঘর ও দোকান পুড়ে গেছে। টানা ৬ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট রাত ৯ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজারস্থ অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল ৩ টায় উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

পরে আগুন ক্যাম্পটির লাগোয়া ৮-এইচ, ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।

তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার।

তিনি জানান, ইতিমধ্যে বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর ক্যাম্প সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে।

সামছু-দৌজা বলেন, সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বাতাসের গতিবেগ বেশী হওয়ায় আগুন দ্রুত পার্শ্ববতী ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্যাম্পটির লাগোয়া আরো ৩ টি ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৪ সহস্রাধিক বসত ঘর ও দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

“ আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক কর্মি ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন। ”

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশনের দুইটি ইউনিটের পাশাপাশি টেকনাফের ২ টি, কক্সবাজারের ২ টি এবং রামুর ১ টি ইউনিট ৯ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে আগুণের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান সামছু-দৌজা।

তিনি জানান, বাতাসের গতিবেগ বেশী হওয়ায় আগুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ক্যাম্পগুলো থেকে লোকজনকে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণে কাজ চলছে।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান সহ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888