রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার বালুখালীর চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে অন্তত ৪ হাজারের বেশি ঘর ও দোকান পুড়ে গেছে। টানা ৬ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট রাত ৯ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজারস্থ অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল ৩ টায় উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
পরে আগুন ক্যাম্পটির লাগোয়া ৮-এইচ, ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।
তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর ক্যাম্প সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে।
সামছু-দৌজা বলেন, সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বাতাসের গতিবেগ বেশী হওয়ায় আগুন দ্রুত পার্শ্ববতী ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্যাম্পটির লাগোয়া আরো ৩ টি ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৪ সহস্রাধিক বসত ঘর ও দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
“ আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক কর্মি ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন। ”
অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশনের দুইটি ইউনিটের পাশাপাশি টেকনাফের ২ টি, কক্সবাজারের ২ টি এবং রামুর ১ টি ইউনিট ৯ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে আগুণের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান সামছু-দৌজা।
তিনি জানান, বাতাসের গতিবেগ বেশী হওয়ায় আগুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ক্যাম্পগুলো থেকে লোকজনকে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণে কাজ চলছে।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান সহ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply