শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস ও কটেজ। এছাড়াও রয়েছে ৫ শতাধিক বেশি রেস্তোরা ও সহস্রাধিক বার্মিজ দোকান। যেখানে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। বলা যায়, যারা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের প্রাণ।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে হোটেল, রেস্তোরা ও বার্মিজ দোকানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম অর্থকষ্টে দিনযাপন করছে। এছাড়াও অনেক মালিক বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। আবার অনেক মালিক দীর্ঘ সময় ধরে বেতন ভাতা দিচ্ছে না এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
তাই ঈদের আগে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাসহ বোনাস প্রদানের জন্য মালিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয়; করোনা পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস ও কটেজ, রেস্তোরা এবং বার্মিজ দোকান রয়েছে ৪ মাসের অধিক সময় বন্ধ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির আগে দীর্ঘ সময় এসব হোটেল রেস্তোরা ও বার্মিজ দোকানের মালিকরা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। এখন করোনার কারণে ৪ মাস বন্ধ থাকায় এসব হোটেল, রেস্তোরা ও বার্মিজ দোকানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, বোনাস বন্ধ রাখা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা ছাঁটাই এটি অমানবিক কাজ।”
তাই কক্সবাজারের হোটেল মোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস ও কটেজ, রেস্তোরা ও বার্মিজ দোকানের সম্মানিত মালিকদের প্রতি কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগ বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনাদের প্রতিষ্ঠানকে যারা দীর্ঘ সময় জুড়ে তাদের মেধা, সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা ও ভালবাসা দিয়ে পর্যটকদের সেবা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে; সে সব কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পবিত্র ঈদুল আযহার আগে বেতন-বোনাস প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি।
“বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করলে আমাদের সহযোগিতা সব সময় পাবেন। আপনারা কিন্তু বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হননি। সবকিছুর হিসাব-নিকাশ আমাদের জানা আছে। তাই দয়া করে, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা ছাঁটাই না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।”
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply