নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সদরে দিনদুপুরে অটোরিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে অপহৃত ২ জনকে উদ্ধার এবং অপহরণকারি চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টারর দিকে পাহাড়ে অপহরণকারিদের আস্তানা ঘিরে পুলিশের সাথে জনতা অপহৃত দুই জনকে উদ্ধার ও একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান।
উদ্ধার দুই রোহিঙ্গা হলেন, উখিয়ার বালুখালি ৮ নম্বর ক্যাম্পের আবুল বাছেরের ছেলে মোহাম্মদ শামশু ও ১১ নম্বর ক্যাম্পের আবদুর শুক্কুরের ছেলে আনিছুল আলম।
আটক করা হয়েছে টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল।
সোমবার সকাল ১১ টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ায় অটোরিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে অপহরণ করা হয় এই দুইজনকে।
উদ্ধার মোহাম্মদ শামশু ও আনিছুল আলম জানিয়েছেন, বালুখালি ক্যাম্প থেকে মাছ কিনতে তারা দুইজন টেকনাফে আসেন। টেকনাফ বাজারে মাছ না পেয়ে মাছের জন্য আটোরিকশা যোগে বাহারছড়া ই্উনিয়নে শামলাপুর যাওয়ার পথেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয় পাহাড়ে। ওখান থেকে জনতা উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার দুই জনকে ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান স্থানীয় এক ব্যক্তি কৌশলে নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করেছেন। পরে বিষয়টি পুলিশ অবহিত করেছেন। ভিডিওতে ঘটনায় জড়িত দূর্বৃত্তদের কয়েকজকে চেনা গেছে। তারা হল, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল মাঠপাড়ার বাসিন্দা কবির আহমদের ছেলে মজিব উল্লাহ ও শওকত উল্লাহ, লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ কবিরের ছেলে মো. শহীদ, নতুন পল্লান পাড়ার নুরু সালামের ছেলে মো. হাশিম এবং হাতিয়ারঘোনা এলাকার নজির আহমদের ছেলে মো. নয়ন।
তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে সফল হওয়া গেছে। টেকনাফের অপহরণ সহ অপরাধ রোধে জনতাকে একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, জনতার সহযোগিতায় দুই জনকে উদ্ধার এবং একজনকে আটকের ঘটনায় মামলা হবে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভোক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এনিয়ে গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪০ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৩জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৯ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
টেকনাফ থানার তথ্য মতে, ২০২৪ সালের ১৮ আগষ্ট থেকে নভেম্বরের এই পর্যন্ত টেকনাফ থানায় অপহরণের মামলা হয়েছে ১২ টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা অন্তত ৫০। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০ জনকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সদরে দিনদুপুরে অটোরিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে অপহৃত রোহিঙ্গা দুই…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার থেকে পাচারকালে বিজিবি ধাওয়াই পাচারকারিদের ফেলে ২ লাখ ৪৮ হাজার ইয়াবা…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে নাফ নদীর লেদা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা এক…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সদরে অটোরিকশা থামিয়ে দুই মৎস্য ব্যবসায়িকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে অপহরণ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৫ ঘন্টার পর মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিশু…