নিজস্ব প্রতিবেদক : গেল ১০ নভেম্বর সকাল ৮ টায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া থেকে অপহৃত হয় একই গ্রামের আনোয়ারুল হকের মেয়ে আফিয়া জান্নাত আরোয়া (৮)। এর দুদিন পর মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোড থেকে অপহৃতকে উদ্ধার সহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে দুই যুবককে আটক করে র্যাব। এরপর ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানা গেছে বিদেশে যাওয়ার টাকা জোগাড়ের জন্য বন্ধুর সহযোগিতায় শিশু আফিয়াকে অপহরন করে তাঁর আপন চাচা।
বুধবার সকালে র্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার দেবজিত পাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, রামুর ফতেখারকুল ইউনিযনের ২ নং ওয়ার্ডের অফিসের চর সিকদার পাড়া গ্রামের মো. নুরুল আবছারের ছেলে ও অপহৃতের চাচা হাসনাইনুল হক প্রকাশ নাঈম (২৩) ও একই ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের পূর্ব দ্বীপ ফতেখাঁরকুল গ্রামের আব্দুস সোবাহনের ছেলে মো. শাহীন (২৫)।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার দেবজিত পাল জানান, ১০ নভেম্বর সকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা গেইটের সামনে থেকে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র আফিয়াকে সিএনজি যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে চক্রটি একই দিন বেলা ১১ টার দিকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইল নম্বরে কল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তাদের দাবী মত মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মানব পাচারকারীর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে দিবে অথবা খুন করে লাশ গুম করে ফেলা হবে মর্মে হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর রামু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এর পর র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকটিম উদ্ধার করে দুই অপহরনকারীকে আটক করে। ওই সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল, ১টি হাত ঘড়ি,১টি এটিএম কার্ড এবং নগদ ৯ হাজার টাকাও জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ধৃতরা দুইজন বন্ধু। ধৃত নাঈম বিদেশ যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চাইলে বাসা থেকে টাকা না দেয়ায় সে তার বন্ধু শাহীনকে নিয়ে তারই আপন ভাতিজিকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সিএনজিতে তুলে ঈদগাঁও এর দিকে নিয়ে যায়। এরপর ঈদগাঁও থেকে চৌফলদন্ডি এবং চৌফলদন্ডি থেকে কুতুপালং এ নিয়ে যায় ভিকটিমকে। তারপর সেখানে ধৃত শাহীনের এক চাচার বাসায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের পরিবারে কাছে মুক্তিপন দাবী করে। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দেয়ার পাশাপাশি । ভিকটিমের শরীরে নকল ব্যান্ডেজ করে ছবি তুলে পাঠায় পরিবারের কাছে। যাতে ভিকটিমের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে তাড়াতাড়ি তাদের চাহিদা মোতাবেক মুক্তিপণ দিয়ে দেয়। এরই মধ্যে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে পুনরায় নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের লক্ষে তারা কুতুপালং থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে কলাতলী এবং কলাতলী থেকে লিংক রোড এলাকায় আসলে র্যাবের হাতে আটক হয়।
ভিকটিমসহ অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর ঘিরে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ ৩ জনকে আটক করেছে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের নাফ নদী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক মাদক কারবারিকে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশিয় বন্দুক ও গুলিসহ আরসা’র শীর্ষ এক সন্ত্রাসীকে…
টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফে পৃথক অভিযানে ২ কেজি ১২৫ গ্রাম ক্রিস্টল মেথ আইস ও ৪৭৪০…