নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের কলাতলী এলাকায় দুই দশক আগে সাগরের প্রবল স্রোতে বিলীন হয়ে যাওয়া দুই কিলোমিটার অংশে প্রতিরক্ষা বাঁধ নিমার্ণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর রামুস্থ ১০ পদাতিক ভিডিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে মেরিন ড্রাইভে খন্ডিত অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর কাজ শেষ হলে একটা প্রস্তাবনা পাঠানো হবে মন্ত্রণালয়ে। সেটি পাস হলে সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
রবিবার সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত মেরিন ড্রাইভ এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী এরইমধ্যে শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নির্দিষ্ট পার্কিং স্পট না থাকার কারনে যেসব গাড়ি সড়কে পার্কিং করা হতো, সেসব গাড়ি পার্কিং এর জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে কলাতলীর ডলফিন মোড়ে যানজট অনেকটায় কমেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ শুরুর কলাতলী অংশ। এই কলাতলী থেকে বেলা হ্যাচারি পর্যন্ত নির্মিত মেরিন ড্রাইভটি বিলীন হয়েছে সাগরের আগ্রাসনে। একই সঙ্গে ঝুঁকি মুখে পড়ে অনেক স্থাপনা। তবে স্থাপনা রক্ষায় অনেকেই নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে বাঁধ। তারপরও বছরের পর বছর জোড়া লাগেনি মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশ। যার কারণে মেরিন ড্রাইভে উঠতে ব্যবহার হচ্ছে বিকল্প সড়ক। যা অনেকটা সরু। যার কারণে এই সড়কে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। একই সঙ্গে প্রতিদিনই ঘটে দূর্ঘটনা। তবে মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশে শিগগিরই কাজ শুরুর কথা শুনে দারুণ খুশি চালক ও যাত্রীরা।
ট্যুরিস্ট জীপ চালক আব্দুল হাকিম বলেন, মেরিন ড্রাইভ শুরুর কলাতলী থেকে বেলী হ্যাচারি পর্যন্ত ভাঙ্গা। তাই বিকল্প সড়কটা অনেক ছোট। যার কারণে সবসময় যানজট লেগে থাকে। এতে পর্যটকসহ আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন ভাঙ্গা অংশের কাজ শুরু হবে বলছে, এটা অবশ্যই সবার জন্য ভালো হবে।
ইজিবাইক চালক শফি উল্লাহ বলেন, বিকল্প সড়কে ২ কিলোমিটার যেতে দেড় থেকে ২ ঘন্টা লাগে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলে তো তা ৩ থেকে ৪ ঘন্টা লেগে যায়।
হোটেল সী ক্রাউনের ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশ সেনাবাহিনী কাজ শুরু করবে এটা পর্যটকদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। কক্সবাজার বেড়াতে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, যা বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। যা দেখতে যায় হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশ মেরামত হলে বিকল্পপথে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে রেহাই ও মেরিন ড্রাইভের সুফল মিলবে বলে জানালেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশে অনেকগুলো স্থাপনা রয়েছে। তার মধ্যে হ্যাচারি, হোটেলসহ নানা স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনাও জোয়ার-ভাটার মধ্যে রয়েছে। এখন মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশে প্রতিরক্ষা বাঁধ আর সড়ক হলে একদিকে স্থাপনাগুলো রক্ষা পাবে আর পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…