নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা সহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় টেকনাফের হ্নীলা স্টেশনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এমন দাবি জানানো হয়। রংগীখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, শাহ মজিদিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়, আলফালাহ একাডেমি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেদা উচ্চ বিদ্যালয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি, হ্নীলা বাজার ব্যবসায়ি সমিতি সহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন।
মোঃ সায়েম সিকদারের পরিচালনায় হ্নীলা বাজার কমিটির সদস্য মুফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হ্নীলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহির আহমদ। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, হ্নীলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর আল- মাসুদ। বক্তব্য রাখেন, হ্নীলা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি বাহাদুর শাহ তপু, আল-ফালাহ একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ রফিক, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, মসজিদিয়া মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নুরুল আমিন , মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ফেরদৌস, ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শাকের আহমদ, নুরুল হোছাই আজাদ, আব্বাস আলী , ডাক্তার মোঃ সোহেল, আবছার কামাল নোবেল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইফুল ইসলাম।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ১২ টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ গুলো হল, ১. রোহিঙ্গা ডাকাত কর্তৃক স্থানীয়দের অপহরণ বন্ধে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২. রোহিঙ্গা ডাকাত ও স্থানীয় ডাকাত নির্মূলে দ্রুত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পাহাড় ভিত্তিক যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ৩. দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিশ্চিত করতে হবে। ৪. রোহিঙ্গা ডাকাতদের সহযোগিতাকারী স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ৫. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে-বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল নিশ্চিত করতে হবে। ৬. সিআইসি অফিস এবং এপিবিএন এর কার্যক্রম আরো গতিশীল করা এবং জবাবদিহিতা র আওতায় নিয়ে আসতে পদক্ষেপ গ্রহণ। ৭. ক্যাম্পের বাহিরে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে আসতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ। ৮. রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৯. রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। ১০. ক্যাম্পের বাহিরে কর্মরত রোহিঙ্গা এবং টমটম,অটোরিকশা ও সিএনজি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১১. ক্যাম্প ভিত্তিক এনজিও চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ১২. টেকনাফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সর্বশেষ টেকনাফে অপহরণের পাঁচদিন পর সোমবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণে ছাড়া পেয়েছে মোহাম্মদ আতিক। তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমুড়া এলাকার আব্দু সালামের ছেলে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় মোহাম্মদ আতিক মোটর সাইকেল যোগে এক বন্ধুকে বাড়ী পৌঁছে দিতে যান। ফেরার সময় মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পৌঁছলে অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিন্মি করে রাখে। এই নিয়ে গত এক বছরে অন্তত ৬০ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে। এখন টেকনাফ হয়ে উঠেছে আতংকের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে;…
জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী : লেখক, কলামিস্ট ও শিক্ষক, দক্ষিণ খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।শিক্ষার্থীর নাম :…
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার…
শহীদ উল্লাহ : লাইলা বেগম, যেন এক সংগ্রামি নারীর নাম। স্বামী কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন…
এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশেপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান…