নিজস্ব প্রতিবেদক : সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে প্রতিকী লাশ কাঁন্দে নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুক্রবার সকাল ১০টায় টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ জিরো পয়েন্ট (শাপলা চত্তর) এলাকায় থেকে যাত্রাি দিয়েছে ‘লাশের মিছিল’।
হানিফ বাংলাদেশির নামের এক যুবকের নেতৃতে প্রতিকী লাশের মিছিলে আরও চারজন রয়েছেন। তারা হলেন-মো নুরুল আজিম, মোঃ সৌরভ, আবু নাসিম ও মো আরিফ।
এই মিছিল ৭২টি উপজেলা ও ৩২টি জেলা প্রদশিক্ষন করবে এবং স্ব স্ব উপজেলায় প্রতিবাদ জানাবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমার সঙ্গে সীমান্ত আছে, এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচী যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে কথা রয়েছে। প্রথম দিনে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
কর্মসূচী সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার।সবসময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে।কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১জন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১হাজার ২৭৬জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে, ১হাজার ১৮৩জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।গত ৫ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে মটার সেলে দুইজন মারা যান। এরমধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।
হানিফ বাংলাদেশী আরও বলেন, বাংলদেশের জনগন সবসময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরি আচরণ করে।সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি হতে পারে ।এরা গরু চোর চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন ? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে, সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে।শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সবসময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।বিদেশী অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের উপর তাবেদারি করার সাহস পাচ্ছে।৩০লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবেনা। বাংলাদেশের মানুষ আর্ত মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে বাঁচতে চায়।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন,এই কর্মসূচিতে আমরা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচী অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সঙ্গে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছ
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…