নিজস্ব প্রতিবেদক : রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বিজয় যখন দ্বারপ্রান্তে, স্বাধীন দেশের বিজয় পতাকা উড়ছে বিভিন্ন জেলাতে, বিভিন্ন জেলা-মহকুমা থেকে আসছে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রযাত্রার খবর; ঠিক সেই সময় পরাজয় নিশ্চিত জেনে নতুন এক ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নতুন এই রাষ্ট্র যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন দেশটি যাতে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির পথে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এগোতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্তে মেতে ওঠে তারা। যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুজাহিদ বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিত্সকসহ কৃতী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে আসছিল। পরাজয় বরণের আগে সুপরিকল্পিতভাবে দ্রুত সেই হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর একযোগে রাজধানীতে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। আজ সেই ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মুক্তিযুদ্ধে জাতির হারানো উজ্জ্বল কৃতী সন্তানদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণের দিন।
বুদ্ধিজীবী হত্যার দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বিজয়ের আনন্দে দেশের জনগণ উল্লসিত হয়ে উঠতে না উঠতেই জানতে পারে পথিকৃৎ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, পেশাজীবীদের তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চোখ-হাত বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার পর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়েছে রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ নানা স্থানে।
রাষ্ট্র ও জাতির বেদনাদায়ক দিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী প্রদান করেছেন। আজ সারা দিন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে বিভিন্ন ব্যক্তি, দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং ৭টা ৬মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধারা বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য খুলে দেওয়া হবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে।
এ উপলক্ষে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হবে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনাসভা হবে। বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে ধর্মীয় উপাসনালয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…