নিজস্ব প্রতিবেদক : পেকুয়ার চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডে মগনামার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১৯ নভেম্বর মামলার বাদী ছৈয়দ মো. ইমনের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহেদ হোসাইন এ আদেশ দেন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) আদালতের আদেশটি সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছলে খতিয়ে দেখার বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. এমরান বলেন, আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডের সকল ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ পূর্বক মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জড়িত থাকার ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চিত। তাই মামলায় তাকে আসামী করার ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালত বরাবর বাদী একটি আবেদন করেছেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ওয়াসিম চেয়ারম্যান জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আবেদনে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, গত ১০ অক্টোবর মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের নির্দেশে ঘরে ঢুকে মামলার ২৪ আসামীসহ একদল অস্ত্রধারী আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে ও বুকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় তাঁর ডান পা কেটে নিয়ে যায় আসামীরা। হত্যাকাণ্ডের আগে চেয়ারম্যান ওয়াসিম মুঠোফোন ও বিভিন্ন মাধ্যমে আবু ছৈয়দকে হত্যার হুমকি দেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এতে স্পষ্ট এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা হলেন ওয়াসিম।
এদিকে গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয় এ মামলার ৯ নং আসামী মো. আনিস। এরপরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনিসের স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আনিস বলেন, “মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের নির্দেশে তাঁরা আবু ছৈয়দকে হত্যা করেন। আর ওয়াসিমকে উপহার দেওয়ার জন্য আবু ছৈয়দের ডান পা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) পেকুয়া থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, আবু ছৈয়দ হত্যাকাণ্ডে মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে বাদী একটি আবেদন করেছেন। বিজ্ঞ আদালত তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমার বরাবর প্রেরণ করেছেন। ইতোমধ্যে এ হত্যা মামলার তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। এ মুহুর্তে আদালতের এ আদেশটি মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১০ অক্টোবর পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়া পাড়ার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে আবু ছৈয়দকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। পরে ২৪ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আবু ছৈয়দের ছেলে ছৈয়দ আহমদ ইমন। মামলার সকল আসামী এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ পর্যন্ত হত্যা মামলার ১২ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…