নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখার ঘোষণা হবে যে কোন সময়। এর জন্য ৫ জনের একটি তালিকা চূড়ান্তও করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, ওই তালিকার একজনকে আহবায়ক ও অপর ৪ জনকে যুগ্ন আহবায়ক করে ঘোষণা করা হবে আংশিক এই কমিটি। আবার এমনও হতে পারে একজনকে আহবায়ক, ২ জনকে যুগ্ন আহবায়ক এবং অপর ২ জনকে করা হতে পারে সদস্য। গত ৮ জনু জেলা যুবলীগের কমিটি বাতিলের ৪ মাসের বেশি সময়ের পর ঘোষণা হতে যাচ্ছে আলোচিত এই কমিটি।
যুবলীগের একাধিক কেন্দ্রিয় নেতার সাথে আলাপ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর যে ৫ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে তারাও এখন অবস্থান করছেন ঢাকায়।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, শোয়েব ইফতেহার, জাহিদ ইফতেহার, ইশতেয়াক আহমদ জয়, আবদুল মাবদু ও ইফতেহার উদ্দিন পুতু এই ৫ জনই স্থান পাচ্ছে আহবায়ক কমিটিতে। এর মধ্যে শোয়েব ইফতেহার ও জাহিদ ইফতেহার দুই জনের একজন হচ্ছেন আহবায়ক। এর মধ্যে শোয়েব ইফতেহার আহবায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলছেন একাধিক নেতা। দুই জনের একজন আহবায়ক হলে অপরজন হবে প্রথম যুগ্ন আহবায়ক। আর যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে থাকছেন ইশতেয়াক আহমদ জয়। তালিকায় থাকা অপর ২ জন যুগ্ন আহবায়ক বা আংশিক কমিটির সদস্য হবেন।
বর্তমানে যুবলীগ কক্সবাজার জেলার শাখার কোন কমিটি নেই। শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ। ওই দিন সর্বশেষ কাউন্সিলে যুবলীগের সভাপতি হন সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক হন শহীদুল হক সোহেল। এই ২ জনের কমিটিটি পূর্নাঙ্গ করতে পারেনি ৫ বছর ২ মাস ২১ দিনেও। ফলে গত ৮ জুন কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করার দায়ে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেলকে সংগঠন থেকে বিহষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর জেলা কমিটির নেতা হতে শুরু হয় জোর তৎপরতা। যেখানে ডজনখানিক নেতা কেন্দ্রিয় কমিটিতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়ে পদপ্রত্যাশি হিসেবে প্রচেষ্টা শুরু করেন।
এর মধ্যে ৫ জনের নামের তালিকা চ‚ড়ান্ত করা হল। চ‚ড়ান্ত তালিকার শোয়েব ইফতেহার কক্সবাজার পৌর যুবলীগের আহবায়ক ছিলেন দীর্ঘদিন, জাহিদ ইফতেহার পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন, ইশতেয়াক আহমদ জয় যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আবদুল মাবদু রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও খোরশেদ-মাবুর নেতৃত্বের যুবলীগের কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও কক্সবাজার শহরের আহবায়ক ছিলেন আর ইফতেহার উদ্দিন পুতু কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সদর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
এদিকে গত ১৩ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা যুবলীগের আওতাধীন একটি পৌরসভা ও ৪ উপজেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রিয় কমিটি। যে ৫ টি শাখার সম্মেলন হয়েছিল গত ৭ মাস আগেই।
যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরেশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল যৌথভাবে এই ৫ টি আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন। যদিও গত ৮ জুন কেন্দ্রিয়ভাবে এক বিজ্ঞপ্তির মধ্যে যুবলীগের কক্সবাজার জেলা কমিটি বাতিল করা হয়েছিল। ফলে গত ৪ মাস ধরে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের কমিটি ছাড়াই চলছে।
ঘোষিত কমিটির মধ্যে কক্সবাজার পৌর শাখার সভাপতি করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডালিম বড়ুয়াকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক শাহেদ মো. এমরানকে। অনুমোদিত কমিটিতে আরও ৩ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুবাইছুর রহমান ও এহেছানুল হক।
মহেশখালী উপজেলা শাখার অনুমোদিত কমিটিতে উল্লেখ রয়েছে ৮ জনের নাম। এর মধ্যে সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম, সহ-সভাপতি সলিম উল্লাহ সেলিম ও মো. মামুন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. শেখ কামাল, ওয়াজেদ আলী মুরাদ, সাংগঠণিক সম্পাদক মিফতাহুল করিম সিকদার বাবু ও এম নুর উদ্দিন মাসুদ।
রামু উপজেলা শাখার কমিটিতে ৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী, সহসভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, কামাল সামশুদ্দিন আহম্মদ প্রিন্স, মো. সালাহ উদ্দিন, রজত বড়ুয়া, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।
উখিয়া উপজেলা কমিটিতে রয়েছে ৫ জনের নাম। এরা হলেন সভাপতি ইমাম হোসে, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার পাশা, সহ সভাপতি মো. শাহজাহান, মকছুদ চৌধুরী, মকবুল হোসেন মিথুন।
কুতুবদিয়া উপজেলা কমিটিতে রয়েছে ৪ জনের নাম। এতে সভাপতি জাফর আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জুনাইদুল হক।
যুবলীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, গত ৭ মাস আগে এই ৫ শাখার আনুষ্ঠানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে গত ৯ মার্চ কক্সবাজার পৌরসভা, ১০ মার্চ রামু উপজেলা, ১১ মার্চ কুতুবদিয়া উপজেলা, ১২ মার্চ উখিয়া উপজেলা, ১৩ মার্চ মহেশখালী উপজেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একাধিক প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের চ‚ড়ান্ত তালিকা না থাকায় কমিটি করা হয়নি। ফলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নামের তালিকা নিয়ে কেন্দ্রিয় নেতারা ঢাকায় ফিরে যান। ৭ মাস পর এই ৫ টির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হল।
অপরদিকে যুবলীগের টেকনাফ উপজেলার কমিটি থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদটি গত ৮ বছর ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। এছাড়া ২০১৭ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলা, ২০১৫ সালে পেকুয়া উপজেলা, ২০১৪ সালের চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের কমিটি হয়েছিল। ওখানে কমিটি অনেকটা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। কমিটি নেই ঈদগাঁও উপজেলাতে।
সংশ্লিষ্ট সংবাদ : যুবলীগ : সম্মেলনের ৭ মাস পরে ১ পৌরসভা ও ৪ উপজেলার আংশিক কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…