বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে মাতারবাড়ি চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এর সাথে বুধবার চট্টগ্রামে এই আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সেই মাতারবাড়ির কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্র বন্দর পরিদর্শন এসেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম থেকে নৌ পথে মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরের একটি জেটিতে পৌঁছেন। সেখানে পৌঁছার পর তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এসময় তিনি প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন।
তার সঙ্গে আছেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান সহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা।
মূখ্য সচিব সেখান থেকে কালারমারছড়ায় এসপিএম প্রকল্পে যাবেন। এ পর্যন্ত গণমাধ্যমে কথা বলেননি তিনি। তবে পরিদর্শন শেষে কথা বলার কথা রয়েছে।
এদিকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বন্দর অডিটোরিয়ামে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড -সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের কাছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল হস্তান্তর করেছেন।
এখন থেকে মাতারবাড়ি চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ, এ চ্যানেলে যাতায়াতকারী সমুদ্রগামী জাহাজের পোর্ট ডিউজ, বার্থ হায়ার চার্জ, পাইলটিং, টাগ চার্জ, বার্থিং-আনবার্থিং ও অন্যান্য চার্জ চট্টগ্রাম বন্দর আদায় করবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আদায় হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সভায় জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল হস্তান্তর বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে মাতারবাড়ি চ্যানেল চট্টগ্রাম বন্দরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরকারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে সিপিজিসিবিএল মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রস্থ, ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল খনন করেছে।
মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০০ মিটার বর্ধিত করে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়। নির্মিত চ্যানেল ও হারবার নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য সিপিজিসিবিএল উত্তরে ১ হাজার ৭৫৩ মিটার ব্রেকওয়াটার, দক্ষিণে ৭১৩ মিটার ব্রেকওয়াটার এবং উত্তরে ১ হাজার ৮০৩ মিটার রিভেটমেন্ট (পাথরের দেয়াল) নির্মাণ করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…