মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭ম জাহাজ ভিড়বে ১৯ সেপ্টেম্বর

ডেস্ক রিপোর্ট : মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬৭ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি জেটিতে ভিড়বে বাল্ক ক্যারিয়ার। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটির আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মাতারবাড়ি জেটিতে ভিড়ানোর কথা রয়েছে বলে জানায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আনা কয়লাবাহী সপ্তম জাহাজ এটি। এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ছয়টি জাহাজে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন কয়লা আনা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ এপ্রিল কয়লা নিয়ে প্রথম জাহাজ আসে মাতারবাড়ি জেটিতে। সবশেষ গত চার জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে ৬৫ হাজার ২০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আসে এমভি এলএমজেড অ্যাটলাস জাহাজ। আগামী অক্টোবরে কয়লাবাহী আরো একটি জাহাজ আসার শিডিউল রয়েছে।

দ্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) ১২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে।

সিপিজিসিবিএলের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ধারাবাহিকভাবে কয়লাবাহী জাহাজ আসছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয় গত ২৯ জুলাই। বর্তমানে পরীক্ষামূলক উৎপাদন বন্ধ আছে। যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পুনরায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।”

তিনি আরো বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। চালু হয়েছে চারশ কেভির বিদ্যুৎ লাইন। আগামী ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ডিসেম্বর থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২৪ সালে আরো ৬০০ মেগাওয়াট যুক্ত হবে।

তিনি জানান, পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হলে প্রতিদিন ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা প্রয়োজন হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬ লাখ মেট্রিকটন কয়লা মজুদ রাখার সক্ষমতা রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোসহ নৌপথের সব সহায়তা দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে জাহাজ থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে কয়লা খালাস করা হয়। একটি মাদার ভেসেল থেকে কয়লা খালাসে সময় লাগবে অন্তত চারদিন। মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই কয়লা ব্যবহার হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল এবং কয়লা নিয়ে এ পর্যন্ত মাতারবাড়ি জেটিতে এসেছে ১১৮টি জাহাজ। জাহাজ ভিড়িয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের আয় হয়েছে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি আনতে ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তৈরী করা হয় দুটি জেটি, ২৫০ মিটার প্রস্থ, ১৮ মিটার গভীরতা এবং ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল বা প্রবেশপথ। চ্যানেলের উত্তর দিকে ২ হাজার ১৫০ মিটার এবং দক্ষিণে ৬৭০ মিটার লম্বা ব্রেকওয়াটার তৈরি করা হয়েছে।

nupa alam

Recent Posts

টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…

2 days ago

চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ

চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…

2 days ago

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…

2 days ago

সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…

3 days ago

পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…

3 days ago

সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…

3 days ago