নিজস্ব প্রতিবেদক : পর্যটন শহর কক্সবাজারের মাত্র ৬ টি আবাসিক হোটেলে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যের কারণে সমুদ্রের দুষণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি পরিবেশের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বুধবার দুপুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) ও ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এমন তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) মাল্টিপারপাস হল রুমে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসময় সাংবাদিকদের কউক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, ১৩৪ টি হোটেলকে এসটিপি স্থাপনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠির প্রেক্ষিতে মাত্র ৬ টি হোটেল এসটিপি স্থাপন এবং ৩৯ টি হোটেল ৩ চেম্বার বিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করে। বাকি ৮৯ টি হোটেল-মোটেলের কাছ থেকে কোন ধরণের তৎপরতা দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, পূর্বে এসটিপি, ইটিপি স্থাপন সম্পর্কে অবগত না থাকায় ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল জোনে অনেক বহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেছে যা অপসারণের সুযোগ নেই। তাই সেণ্ট্রাল এসটিপি স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বহুমুখী উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আর্থিক সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ বিষয়ে কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে। এসটিপি স্থাপনের জন্য কউক বিষয়টি ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছে এবং এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মো: খিজির খান বলেন, মন্ত্রণালয় হতে ভবণ নির্মাণের পূর্বে কউক হতে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র এবং ইমারতের নকশা অনুমোদনের সময় এসটিপি নির্মাণের বিষয়টি শর্ত আরোপ করা হয়। অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় লক্ষ করা গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে এসটিপি নির্মাণে অর্থায়নে বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সভায় কউকের উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ তানভীর হাসান রেজাউল, বাংলাদেশ শ্রীম্প হ্যাচারি এসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ সহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য রাখেন।
শহীদ উল্লাহ : লাইলা বেগম, যেন এক সংগ্রামি নারীর নাম। স্বামী কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন…
এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশেপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…