নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হলো ‘লাল হইতরি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও সাহিত্য সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তৃতীয় চোখ প্রকাশন কর্তৃক আয়োজিত কবি ও শিশুসাহিত্যিক শফিউল্লাহ নান্নু রচিত ‘লাল হইতরি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও সাহিত্য সম্মিলনে প্রধান অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কথাসাহিত্যিক কায়সার খসরু।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে শফিউল্লাহ নান্নুর আঞ্চলিক কাব্যগ্রন্থের প্রশংসা করে বলেন- ‘আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখার এমন প্রচেষ্টায় নান্নু অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি আঞ্চলিক ভাষাই মৌলিক ভাষা। আসলে আঞ্চলিক ভাষা বলতে কোনো কিছু নেই।
নান্নুর ‘লাল হইতরি’ কাব্যগ্রন্থ তেমনই একটি মৌলিক কাব্যগ্রন্থ, যে গ্রন্থে কবি তার মা, মাটি, জনপদ, নৈসর্গিক সৌন্দর্য সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমি প্রত্যাশা করি ‘লাল হইতরি’ কাব্যগ্রন্থ এই অঞ্চলের প্রাণের স্মারক হয়ে থাকবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক সন্তোষ কুমার শীল বলেন,পাহাড় নদী সমুদ্রে ঘেরা এই টেকনাফ। টেকনাফ তথা চট্টগ্রামের মৌলিক ভাষায় অনিন্দ্য সুন্দর লেখনিতে সমৃদ্ধ শিশুসাহিত্যিক শফিউল্লাহ নান্নু’র ‘লাল হইতরি’ বই সত্যিই ব্যতিক্রম। টেকনাফের ঐতিহ্যিক বিষয় ও উপাদান প্রত্যক্ষভাবে তার লেখনিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।
অপর বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে সাহিত্যনুরাগী ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ‘লাল হইতরি’ বইয়ের বিশ্লেষণ করে বলেন, প্রকৃতির অনবদ্য রূপের সীমান্ত জনপদ টেকনাফ। আর এই টেকনাফকে গোটা দেশের আনাচে কানাচে সাহিত্যের মাধ্যমে পরিচয় করানোর এক সম্ভাবনাময় নাম শফিউল্লাহ নান্নু।
স্বাগত বক্তব্যে কবি আব্দুর রহিম কেলভিন বলেন, টেকনাফে বর্তমান সময়ের কবি ও শিশুসাহিত্যিক শফিউল্লাহ নান্নু’র প্রকাশিত ‘লাল হইতরি’র প্রচ্ছদ যেমনটা মন কাড়ে, ঠিক তেমন-ই কবিতায় মন ছুঁয়ে যায়। তার কবিতায় টেকনাফের প্রকৃতি,সংস্কৃতি আর জীবনযাত্রার সার্বিক রূপায়ন ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তৃতীয় চোখ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কবি ও প্রাবন্ধিক আলী প্রয়াস। তিনি বলেন, এ জনপদের অন্ধকার স্রোতে হারিয়ে যাওয়া হাজারো তরুণদের বিপরীতে শফিউল্লাহ নান্নু এক ব্যতিক্রম প্রতিভার সৃজনশীল ও আলোর পথের মানুষ। তার মতো আরও নান্দনিক মানুষ সৃষ্টি হলে টেকনাফ আলোকিত হবে। তিনি আরও বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরিতে সাহিত্যপাঠের বিকল্প নেই। এজন্য দরকার বেশি বেশি শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ তৈরি করা। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমেই টেকনাফের বর্তমান মাদককেন্দ্রিক নষ্ট অবস্থার বিপরীতে সুস্থ ও মানবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
প্রভাষক এহসান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে ‘লাল হইতরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এতে অন্যদের মধ্যে ‘লাল হইতরি’ বই নিয়ে আলোচনা করেন টেকনাফ সরকারি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক কবি মোঃ নুরুল ইসলাম মাহমুদ ও মোঃ শফিকুল ইসলাম। কবিতা আবৃত্তি করেন তরুণ সাহিত্যকর্মী ফয়সাল সাফি।
অনুষ্ঠানে সাহিত্যেপ্রেমী কবি-শিল্পী-শিক্ষক-ছাত্রসহ বিপুলসংখ্যক দর্শক ও সুধীজনের উপস্থিতিতে সম্মেলন কক্ষ পরিপূর্ণ ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…