নিজস্ব প্রতিবেদক : রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে অপহৃত চার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ ঘন্টা পর তিনজন জীবিত উদ্ধার হয়েছে; ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক হয়েছে পাঁচ অপহরণকারি।
এছাড়া অপহৃত অপর একজনকে উদ্ধারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের পাহাড়ী এলাকায় র্যাব ও এপিবিএন পৃথক এ অভিযান চালায়।
উদ্ধাররা হল, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম মামুন এবং একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন ও আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়ছার।
এদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমান নয়নকে এপিবিএন এবং মোহাম্মদ কায়ছারকে র্যাব উদ্ধার করেছে।
এখনো সন্ধান মিলেনি মিজানুর রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী।
তারা সবাই উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
আটকরা হল, টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নজির আহাম্মদের ছেলে নুর সালাম (৫০) ও নুর সালামের মেয়ে রনজন বিবি (১৩) এবং একই ক্যাম্পের মোচনী পাড়ার আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়া। তবে আটক অপর দুইজনের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠা জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এই দুই রোহিঙ্গা রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকায় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিল। সেই সুবাদে জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে স্থানীয় চার শিক্ষার্থীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ৭ ডিসেম্বর সকালে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে স্থানীয় চার শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের দুই রোহিঙ্গা। পরে এসব শিক্ষার্থীদের টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অজ্ঞাত স্থানে জিন্মি করে মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল অপহরণকারি চক্র।
অপহৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, মুক্তিপণের টাকার দাবিতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে অপহরণকারিরা। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন ) অধিনায়ক তারিকুল বলেন, মুক্তিপণের দাবিতে চার শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে জিন্মি রাখার খবর পাওয়ার পর থেকে এপিবিএন সদস্যরা টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের পাহাড়ী এলাকা থেকে অপহৃত দুই শিক্ষার্থীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
“ শুক্রবার সকালে টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্প থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ রোহিঙ্গা আটক করা হয়েছে। আটকরা অপহরণ ঘটনায় জড়িত মোহাম্মদ ইব্রাহিমের আত্মীয়-স্বজন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ” বলেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমে পাহাড়ী এলাকায় আরেকটি পৃথক অভিযানে অপহৃত মোহাম্মদ কায়ছার নামের আরেক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই অপহরণকারিকে আটক করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম।
তবে আটক দুইজনের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
খাইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে র্যাব সদস্যরা অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকা থেকে অপহৃত এক শিক্ষার্থীকে জীবিত উদ্ধার এবং দুই অপহরণকারিকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে অপহৃত অপর শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানকে উদ্ধারে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে;…
জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী : লেখক, কলামিস্ট ও শিক্ষক, দক্ষিণ খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।শিক্ষার্থীর নাম :…
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার…
শহীদ উল্লাহ : লাইলা বেগম, যেন এক সংগ্রামি নারীর নাম। স্বামী কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন…
এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশেপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান…