মহেশখালী প্রতিনিধি : মহেশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়াসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর আমজাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়া গোরকঘাটা এলাকার যুদ্ধাপরাধী তালিকার ২২ নম্বর আসামি মৃত হাশেম সিকদার ওরফে বড় মোহাম্মদের ছেলে পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া (৫৩), তার ছেলে হাম্মাম শাহাজাদ (২১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২২), ইসহাক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মামুন (৪২), মকছুদ মিয়ার ভাই আতাউল্লাহ বোখারী (৪৫), মৌলানা আব্দু সবুরের ছেলে শামসু উদ্দিন (২৮), মঈন উদ্দিন (৩০), মৃত জাফরের ছেলে বশির উদ্দিন (৩৩), নুরুল ইসলামের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (৩১), তৌহিদুল ইসলাম (৩৪), মৃত গুরা মিয়ার ছেলে সোলতানুল আলম (৫৬), মৃত জাফরের ছেলে রকি (২৮), মৃত ইসহাকের ছেলে জাহাঙ্গীর-প্রকাশ বিলাই জাহাঙ্গীর (৪৫), হাসান মোর্শেদ (২৫), পশ্চিম সিকদারপাড়ার মৃত মৌলভী আতিকুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫), মিজানুর রহমান (৪০), গোরকঘাটার চরপাড়া ৯নং ওয়ার্ড এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মাঈন উদ্দিন (২৮), পূর্ব সিপাহিপাড়া এলাকার সৈয়দ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শান্ত (২৬), জসিম উদ্দিন (২৪), ৪নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকার মতলবের ছেলে গোলাপ শাহা (৩৫), ছোট মহেশখালী ডেইলপাড়া এলাকার মৌলভী আবছারের ছেলে ওবাইদুল মোস্তফা কাউছার (৩৬), ঘোনাপাড়া এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে ফরিদ আলম- প্রকাশ কালা ফরিদ (২৭), দক্ষিণ ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত মোছন আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (৩৫), মহেশখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত মোহাম্মদ আমিরের ছেলে আলা উদ্দিন (৩২), মৃত নজিরের ছেলে আমান উল্লাহ (৩৫)।
এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মফিজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের দাবি, হামলাকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোরাঘুরি করছে। তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এমনকি মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের আশংকা করছেন তিনি।
আমজাদ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন জানান, হামলায় তার বাবা প্রাণে বাঁচলেও তিনি শংকামুক্ত নন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, মাথায় লম্বা দা তিনটি কোপ, হাতে পায়ে রডের আঘাতে পুরো শরীর জর্জরিত।
এ ব্যাপারে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মকছুদ মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই জানান, মামলাটি সবেমাত্র হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ১৫-২০ জনের দুর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে লিডারশীপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ফেলে চলে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় আত্মীয়রা তাকে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মৎস্য ঘেরে লুটপাটের অভিযোগে মামলা করায় আমজাদকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছিল। কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কেঁদে কেঁদে ঘটনার বিবরণ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…