বিশেষ প্রতিবেদক : উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি চরম বেকায়দায় পড়েছেন। আগামি ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি বেকায়দায় পড়েছেন। তার কারণ নির্বাচন আওয়ামীলীগ মনোনিত গত ২ বারের মেয়র এবং বদি’র চাচা মোহাম্মদ ইসলামের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বদি’র ছোট ভাই আবদুস শুক্কুর।
চাচা-ভাতিজার ভোটের যুদ্ধে বদি ইতিমধ্যে নৌকা প্রতিকের চাচার পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়া শুরু করেছে। অপরদিকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আবদুস শুক্কুর। এনিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা।
সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, গত ৫-৬ মাঠ ধরে পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেব্ েমাঠে গণসংযোগ সহ নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন আবদুস শুক্কুর। তাঁর মরহুম পিতা মরহুম এজাহার মিয়ার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি মাঠে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দেন। তাঁর এই নির্বাচনী তৎপরতায় প্রকাশ্যে মেয়র চাচা ইসলাম ও ভাই বদির নানা ভুল, উন্নয়ন করার সুযোগ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে না করার নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। ফলে তারুণদের একটি অংশের পাশাপাশি পিতা এজাহার মিয়ার সমর্থির প্রবীণদের বিশাল একটি অংশ আবদুস শুক্কুরের পক্ষে প্রকাশ্যে তৎপরতা শুরু করতে দেখা গেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আবদুস শুক্কুর অন্যান্যদের সাথে আওয়ামীলীগের মনোনয় প্রত্যাশা করে তৎপরতা চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম। এরপর পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চাচা বিপক্ষে ভোট যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন শুক্কুর। নিয়েছেন মনোনয়ন পত্রও।
আবদুস শুক্কুর জানিয়েছেন, ভোটে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া নাগরিক অধিকার। আমিও নাগরিক হিসেবে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করে যাবো।
চাচার বিপক্ষে কেন প্রার্থী এমন প্রশ্নের উত্তরে শুক্কুর জানান, আমার পিতা টেকনাফের মানুষের আশা-ভরসার কেন্দ্র ছিলো। টেকনাফ ঘীরে ছিলো নানা স্বপ্ন। টেকনাফের মানুষ এখনো এজাহার মিয়া কোম্পানীকে মন থেকে স্মরণ করেন। কিন্তু আমার চাচা ২ বারের মেয়র হয়ে আমার পিতার কিছু ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমি মেয়র প্রার্থী। টেকনাফের মানুষ চাই যত প্রতিবন্ধকতা আসুক আমি যেন মেয়র পদে নির্বাচন করি। আমি সুষ্ঠু ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবো এটাই আশা রাখি।
ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির প্রতি ইংগিত করে আবদুস শুক্কুর জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সহ বিভিন্ন জনকে হুমকি দেয়ার খবর শুনা যাচ্ছে। এটা আমার ভোটের মাঠ নষ্ট করার চেষ্টা। নির্বাচনে এরকমের হুমকি থাকাটা স্বাভাবিক। আমি সব মোকাবেলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবো। পৌরবাসি আমাকে ভোট দিয়ে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন।
এব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সাথে গত ২ দিন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চতুর্থ ধাপে ঘোষিত তফশিল মতে, আগামি ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৬ ডিসেম্বর টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর। তাই শেষ পর্যন্ত প্রার্থী কে কে এটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…