নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট উৎসব অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র মতে, ১১ নভেম্বর তিন উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ২০৩ টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ৪ হাজার ৯৫২ জন ভোটার রয়েছে। এতে রামু ১১ টি ইউনিয়নের ১০০ টি কেন্দ্রে, উখিয়ার ৫০ টি কেন্দ্রে এবং সদর উপজেলার ৫৩ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী, পিএমখালী ও ঝিলংজা ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ৫ ইউনিয়নের মোট কেন্দ্র ৫৭ টি। এরমধ্যে ২৭ টি ঝুকিপূর্ণ। রামু উপজেলার ফতেখারকুল, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, জোয়ারিরনালা, রশিদ নগর, ইদগড়, চাকমারকুল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়াপালং, রাজারকুল ও কাউয়ারখোপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ১১ টি ইউনিয়নের মোট ভোট কেন্দ্র ১০০ যার মধ্যে ৫৮ টি ঝুকিপূর্ণ। একইদিন উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং , রত্না পালং রাজা পালং, জালিয়া পালং ও পালং খালী ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই উপজেলার ৫০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩০ টি ভোটকেন্দ্রই ঝুকিপূর্ণ।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোছাইন বলেন, কক্সবাজার জেলার তিনটি উপজেলার ২০৩ টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৮৮ টি কেন্দ্র সাধারন ও ১০৫টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার সকাল থেকে সকল কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো হচ্ছে।
কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহাজাহান নূরী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২১ টি ইউপিতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার ( ভারপ্রাপ্ত ) রফিকুল ইসলাম বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন করা হবে। কেন্দ্রে কেউ যদি কোন সমস্যা করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্যালেট পেপার ছিনতাই কিংবা ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, তিনটি উপজেলায় ৪৬ জন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে সদরের ৫ টি ইউপিতে ১২ জন, রামুর ১১ টি তে ২২ জন এবং উখিয়ার ৫ টিতে ১২ জন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের মাঠে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা সমন্বিতভাবে কাজ করবে। সব কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্বদিয়ে প্রশাসনকে সাজানো হয়েছে। যদি কোন কেন্দ্রে কোন অঘটন ঘটে তবে টহল টিমগুলো সাথে সাথে সে কেন্দ্রে যাবে। এছাড়া আগের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকায় এক নারীর স্বত্ব দখলীয় জমি দখলে নিতে ভোর…
রামু প্রতিবেদক: রামুতে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে টানা দুই ঘন্টা চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ…
টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তোতার দিয়া নামক এলাকায় মাছ শিকারে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ায় ‘জমি বিরোধের জেরে’ দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জামায়াত ইসলামীর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি…
টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার থেকে দুইজনকে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।…