নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়েরের নেপথ্যে দলের প্রভাবশালী একটি চক্র জড়িত বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম।
তিনি গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, মেয়রকে মামলার আসামি করার পেছনে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ সাবেক নেতা মোনাফ সিকদারকে ব্যবহার করা হয়েছে। যারা পদ পাওয়ার লোভে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়ে ছিলো ওই চক্রটি এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
নজিবুল ইসলাম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি মামলাটা হওয়ার পর তাঁর যাঁরা শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন, তাঁরা বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছেন। জেলাপর্যায়ের শীর্ষ একজন নেতা মুজিবুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে এভাবে মামলা নেওয়া ঠিক হয়নি, তাই লোকজনের ক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। এগুলো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। পরবর্তী সময়ে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। মেয়রকে মামলার আসামি করার পেছনে গুলিবিদ্ধ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে ব্যবহার করা হয়েছে। এর পেছনে জড়িত দলের একটি প্রভাবশালী চক্র।
তিনি জানান, মোনাফ সিকদার শুঁটকি মার্কেটের যে জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেটা একটি বিতর্কিত স্থান। এই জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছে অনেক আগে থেকে। মোনাফ একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছিলেন। কে, কেন তাঁকে গুলি করল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। গুলির ঘটনার বিবরণ যাঁরা দিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ গুলি করা লোকজনকে চিনতে পারেননি। মোনাফও কাউকে চিনতে পারেননি। এ রকম একটা অস্পষ্ট ঘটনার চার দিন পর পৌর মেয়রকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি করাটা দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা মেনে নিতে পারছেন না।
ভিডিও বার্তায় মোনাফ সিকদার গুলি করার পেছনে মেয়রের হাত থাকার কথা প্রসঙ্গে নজিবুল ইসলাম বলেন, মোনাফ সিকদারের একটা ভিডিও আমরা ফেসবুকে দেখেছি, শুনেছি। এটা আসলে একটা ষড়যন্ত্র। আমরা যতটুকু জানি, ভিডিও বার্তা প্রকাশের পেছনে একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আছে। একটি প্রভাবশালী পক্ষ, যারা আগেও মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে লেখালেখি করেছে। সে রকম একটি পক্ষের মোনাফের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। তারাই মোনাফকে দিয়ে ভিডিও বার্তাটি রেকর্ড করে ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
পৌর মেয়রকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করার পেছনে রাজনীতি কারণ দেখছেন নজিবুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি করার পেছনের কারণ হচ্ছে মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করা। সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আছে। দলীয় অন্তঃকোন্দলও কাজ করছে। দলের অনেক প্রভাবশালীর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার ইচ্ছা আছে। তা ছাড়া মেয়রের সঙ্গে দলীয় কিছু নেতার বিরোধও আছে, যেটি কিছুদিন আগে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের সময় প্রকাশ্য রূপ নিয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সেই বিরোধের মীমাংসা করা হলেও বিরোধীপক্ষ এখনো বিভিন্নভাবে মেয়রকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…