জাতীয় ডেস্ক : আগামী বছর থেকেই ঢাকা থেকে ট্রেনে করে দেশের পর্যটন আকর্ষনের প্রধান শহর কক্সবাজারে আসা যাবে।
কক্সবাজারের দোহাজারী- কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও দেশের প্রধান পর্যটন শহরে সড়কপথ এবং আকাশপথে যাতায়াত সুবিধা থাকলেও রেলপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ ছিলো না। এ কারণে ২০১০ সালে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলযোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয় মূলত ২০১৬ সালে। নানা জটিলতা, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সেই রেললাইন এখন কল্পনা ছাড়িয়ে বাস্তবতায়। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাতায়াত করা যাবে। প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইনের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অভিমুখী দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন নেটওয়ার্ক স্বাধীনতার আগে থেকেই বিদ্যমান ছিলো। চট্টগ্রামের ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন স্থাপিত হয় ১৯৩০ সালে। সেই দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে রামু’র ঘুমধুম পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে বর্তমান সরকার। চায়নার দুটি এবং বাংলাদেশের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই রেললাইন নির্মাণের কাজ করছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, প্রকল্পের শুরুর দিকে জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় কিছু কিছু এলাকায় রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্বিত হয়। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি এবং বর্ষার কারণেও কাজে কিছুটা ধীরগতি ছিলো। কিন্তু শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মাননীয় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সার্বিক নির্দেশনায় বর্তমানে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ঢাকা-থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেনে যাতায়াত করা যাবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করতে রেলমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯টি স্টেশনের মধ্যে ৭টি স্টেশন এখন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া, কক্সবাজারের নির্মাণাধীন আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের কাজও অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করতে ৩৯টি রেল ব্রিজ, ১৪৫টি কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেললাইন এখন আর কল্পনা নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৩৯টি সেতুসহ রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি হয়। এর মধ্যে দুটি লটে দুটি চায়না ও দুটি দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। এর মধ্যে একটি লটে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। অপর লটে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…