নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের পাঁচ শিশু এবং মহেশখালীতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে; এতে হয়েছে কয়েকজন।
বুধবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পানখালি ভিলেজার পাড়া এবং মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় নিহতরা হল, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ভিলেজার পাড়া ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (১৬), মোহাম্মদ জুবায়ের (১২), আব্দুল লতিফ (১০) এবং মেয়ে কহিনুর আক্তার (১৪) ও জয়নাব আক্তার (৮) ।
এছাড়া মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা এলাকায় নিহত হয়েছে মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন (৮০) নামের এক বৃদ্ধ।
টেকনাফের ঘটনায় সৈয়দ আলম ছাড়া আহত অন্যদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফের হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারে ৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রাশেদ বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে টেকনাফে। বুধবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালি ভিলেজার পাড়ায় একটি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ের খাদের নিচে স্থানীয় সৈয়দ আলমের পরিবারের সদস্যরা ঘুমন্ত অবস্থায় মাটিচাপা পড়েন। পরে স্থানীয়রা মাটি খু্ড়ে তাদের বের করলেও ঘটনাস্থলেই ৫ শিশুর মৃত্যু হয়। এতে আহত কয়েকজন।
মাটিচাপায় আহত আরো কয়েকজনকে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। তারা ঘটনাস্থলে আর কেউ মাটি চাপা পড়ে আছে কিনা তা দেখতে দীর্ঘ ৩ ঘটনা ধরে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে এতে আর কেউ নেই বলে তারা নিশ্চিত হন।
এছাড়া খবর পেয়ে ভোরেই টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ।
এদিকে বুধবার ভোরে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় মাটিচাপা পড়ে আলী হোসেন নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বকর।
আবু বকর বলেন, বুধবার ভোরে টানা ভারী বর্ষণে আলী হোসেনের বাড়ী ও গোয়াল ঘরে পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে। এতে বাড়ীতে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা বের হতে পারলেও আলী হোসেন মাটিচাপা পড়েন।
তিনি বলেন, “পরে স্বজনরা মাটি সরিয়ে আলী হোসেনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এছাড়া মাটিচাপা অবস্থায় মারা যায় গোয়াল ঘরে থাকা একটি গরু ও একটি ছাগল। “
এর আগে মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার ক্যাম্প ১০ এ পাহাড় ধসে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। মাটির চাপায় আহত হন ২ জন। তাদের ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর ঢলের পানিতে ডুবে ক্যাম্প ১৮ তে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
আর পাহাড় ধসে টেকনাফে হোয়াইক্যংয়ে এক নম্বর ওয়ার্ডে রকিম আলী নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং মহেশখালি উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহিপাড়ায় মাটির দেয়াল চাপায় মৃত্যু হয় মোরশেদা বেগম নামের এক কিশোরীর।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…