বিডিনিউজ : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর জব্দ করা সম্পত্তি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ডিসির জিম্মায় থাকবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আসফাকুর রহমানের আদালত দুই জেলা প্রশাসককে ‘জিম্মাদার’ নিয়োগের আদেশ দেয়।
দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এজাহারভুক্ত এসব সম্পত্তি জব্দ করতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দিয়েছিল একই আদালত।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, “দুদকের মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে। ওই মামলায় আগে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেসব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।”
তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের জমি, পাথরঘাটার একটি বাড়ি ও দুটি গাড়ি আদালতের আগের আদেশের পরই জব্দ করা হয়। সেসবের ‘রিসিভার’ হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। আর কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটের ‘রিসিভার’ থাকবেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।
সিনহ হত্যা মামলায় প্রদীপ গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত বছরের ২৩ অগাস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকি কারণকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রদীপ কুমার দাশ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করার জন্য নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন।
পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর তার মেয়ে চুমকি কারণের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও স্ত্রী চুমকি কারণ কর্তৃক অর্জিত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ গ্রেপ্তার হলেও তার স্ত্রী চুমকি এখনও পলাতক।
কক্সবাজারের টেকনাফের কাছে বাহারছড়া চেকপোস্টে গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ওই ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ অগাস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে ১ নম্বর এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
মামলা হওয়ার পর ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর প্রদীপকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হত্যা মামলায় ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব। গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…