নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ক্রমাগত বেড়ে’ যাওয়ায় উখিয়া উপজেলায় রোববার থেকে ৮ দিনের ‘বিশেষ লকডাউন’ শুরু হয়েছে।
উখিয়ার ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে ইউএনসহ জেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় লকডাউনের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত উখিয়া থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না এবং বাহির থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সেই সাথে ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল ছাড়া সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাশাপাশি যানবাহন চলাচলও। তবে চিকিৎসার কাজে ও অসুস্থ রোগী আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
এর আগে টেকনাফ উপজেলায় শুক্রবার থেকে ১০ দিনের ‘বিশেষ লকডাউন’ ঘোষণা করে প্রশাসন। এর পাশাপাশি সংক্রমণের হার উর্ধ্বগতিতে থাকা উখিয়ার ৪ টি এবং টেকনাফের ১ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় প্রশাসন। এছাড়া দেশি-বিদেশি সংস্থা সমূহের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টির ক্যাম্পের অন্যগুলোতে চিকিৎসা, খাদ্য ও জ্বালানীসহ জরুরি সেবা ব্যতিত অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইউএনও নিজাম উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে। এতে উখিয়া উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংক্রমণের হার উর্ধ্বগতির দিকে। এ নিয়ে রোববার দুপুরে স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দিনের অংশগ্রহণে জেলার সব ইউএনও সহ জেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাল (রোববার) থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
“ এছাড়া শুক্রবার থেকে উখিয়ার ৪ টি ও টেকনাফের ১ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে লকডাউন। এছাড়া দেশি-বিদেশি সংস্থা সমূহকে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পের অন্যগুলোতে চিকিৎসা, খাদ্য ও জ্বালানীসহ জরুরি সেবা ব্যতিত অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত করার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ”
“ লকডাউন চলাকালীন উখিয়া উপজেলার ভিতরে বা বাইরে কোন পরিবহন/ব্যক্তি যাতায়ত করতে পারবে না। অর্থাৎ উখিয়া থেকে পার্শ্ববর্তী টেকনাফ বা জেলা সদরে কোন ব্যক্তি পরিবহন যাতায়ত বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল খোলা থাকবে। এছাড়া হাটবাজারসহ সবধরণের দোকানপাট বিকাল ৫ টা পর বন্ধ থাকবে। তবে অসুস্থ রোগী পরিবহন ও চিকিৎসার কাজে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে। ”
ইউএনও বলেন, “ সভার পরপরই বিকাল থেকে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পুরো উপজেলাব্যাপী মাইকিং করে প্রশাসনের লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদেরও সিদ্ধান্ত কার্যকরে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথমদিন থেকে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমান আদালতও। ”
নিজাম উদ্দিন জানান, নতুন করে ১০ দিনের বিশেষ লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের জারি করা পরিপত্র এখনো হাতে আসেনি। আশা করছেন রাতের মধ্যে পৌঁছাবে। এটি হাতে আসার পর গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…