স্বাস্থ্য ডেস্ক : করোনাভাইরাসে দেশে গত এক দিনে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; নতুন করে এক হাজার ৩৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
দৈনিক মৃত্যু পঞ্চাশে নেমে তিন পর আবার তা আবার ছাড়িয়ে গেল। আগের দিনও ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু যোগ করে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ১১ হাজার ৯৩৪ জনের মৃত্যু হল।
গত একদিনে নতুন শনাক্তদের নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩ হাজার ৩২৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।
এরপর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমতে কমতে গত ৪ মে তা ৬১ জনে নামে। তার পরদিন মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমে ৫০ জনে নামে। এরপর সংখ্যার উঠানামা থাকলেও তা পঞ্চাশের নিচেই ছিল। রোববার তা আবার ছাড়িয়ে গেল।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৭৭ লাখ ছাড়িয়েছে; মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৫৪টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৯১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ,এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬২টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩২টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ৩৮ জন পুরুষ আর নারী ১৮ জন। তাদের ৩৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা গেছেন পাঁচ জন।
তাদের মধ্যে ৩০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ২১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৯৩৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৬৫৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ২৮১ জন নারী।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…