সাইফুল ইসলাম : পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মতো একটি জনবহুল শহরেই অপরিকল্পিতভাবে প্রধান সড়কে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে চরম জনদূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়সহ পর্যটকদের। বিশেষ করে এক জায়গার কাজ শেষ না হতেই আরেকটি জায়গায় কাজ করাই এমন দূর্ভোগ হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
কোনো রাস্তায় একদিনের জন্য গাড়ি ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে কী ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়, তা সংশ্লিষ্টদের জানা থাকলেও বাস্তবে লক্ষ করা যায়। শহরের ব্যস্ততম প্রধান সড়ক মূলত একটি। ওই সড়ক দিয়েই গাড়ি চলাচল অব্যাহত থাকে। কিন্তু প্রায় ৩ মাস ধরে শহরের বৃহত্তর রুমালিয়ারছড়াস্থ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে বাজারঘাটা পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলমান রয়েছে। বিশেষ করে কাজের গতি এতই আস্তে তিন মাসেও দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি সড়কের দু’পাশের ব্যবসায়ীরা কোন ধরণের ব্যবসা বানিজ্য করতে পাচ্ছেনা। সব দোকানগুলোই বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মারাত্নক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি জানান মুদির দোকানের ব্যবসায়ী মো. সেলিমসহ অনেকেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে এখন ওই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা মানুষ চলাচলও অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছেন। এই ধীরগতিতে চলমান কাজ কখন শেষ হবে তা কে জানে। এভাবেই কাজ করা হলে আরও তিন বছরেও শেষ হবে না সড়কের এমন দাবি স্থানীয়দের।
বৃহত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার গোরা মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, সড়কের যে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে তা আমাদের সকলের জন্য ভাল হচ্ছে। কিন্তু একটি জায়গার কাজ শেষ না করতেই অন্য জায়গায় কাজ করায় মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদারেরর এই ধীর গতি কাজ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তদারকি না করলে সামনে আসছে রমজান মাস এবং বর্ষাকালে তখন কষ্টের সীমা থাকবে না মানুষের।
কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ডে চলাকালে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে, এটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন কাজের কারণে শহরের প্রধান সড়কসহ অলিগলির প্রায় ৮০ শতাংশ সড়ক এখন ক্ষতবিক্ষত। কাজে সমন্বয় না থাকায় দুর্ভোগে নাকাল শহরবাসী।
মূলত উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখার দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভা সেটি তদারকি না করায় আজ এই অবস্থা। কিন্তু বাস্তবে লক্ষ করা যায়, খোঁড়াখুঁড়ির সময় সড়কের এক বড় অংশে ফেলে রাখা হয় মাটিসহ বিভিন্ন সামগ্রী।
ওই এলাকার আব্দুল গফুর নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, সড়কে উন্নয়নের কাজ চলছে তাতে অত্যন্ত খুশি হয়েছে মানুষ। তবে উন্নয়নের নামে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নেতৃত্বে ধীর গতিতে চলমান কাজে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এভাবেই ধীর গতিতে কাজ চললে দূর্ভোগের সীমা থাকবে না মানুষের।
বাবুর নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক ব্যতিত উপসড়কের অলিগলিতেও উন্নয়নের নামে দীর্ঘদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে । ফলে একদিকে পুরো সড়কেই ধুলোবালি, অন্যদিকে যাতায়াত করতে চরম অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে শহরটি ধুলোবালির শহরে পরিনত হয়েছে।
যানবাহন শ্রমিকরা বলছেন, আগে অনেক ভাল ছিল সড়কগুলো। যে কাজ শুরু করেছে কবে শেষ হবে? আবার অনেকেই দুঃখ করে বলছেন, সড়কের দূর্ভোগ আর কতদুর?
নির্মানাধীন সড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় নাজুক অবস্থা। প্রধান সড়ক ও উপসড়কেই শুধুই খোঁড়াখুঁড়ি। সড়কের কাজ করায় একদিকে যানবাহন চলাচল ব্যহত, অন্যদিকে মানব চলাচলের দৃশ্য যেন এক করুণ অবস্থা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তদারকি না করলে আরও ৩/৪ বছরেই শেষ হবে না চলমান সড়ক নির্মাণের কাজ। তাই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভার সংশ্লষ্ট দপ্তর তদারকি করলেই হয়তো কাজটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…