নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট জেলার টেকনাফ উপজেলার হত- দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আইসিআরসি এর সহযোগীতায় ইকোসেক (ইকোনমিক সিকিউরিটি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ।উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমুরা এলাকায় বসবাসরত ৩১৩ টি পরিবার থেকে সুবিধাভোগী নির্বাচন করে প্রত্যেক সুবিধাভোগী ও তার পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আয় বৃদ্ধিমুলক প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের দ্বারা গৃহিত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেদের আত্ম- সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উক্ত প্রকল্পের বাছাইকৃত ১৯৩ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে মোট ৫৪ লক্ষ ৬ হাজার টাকার চেক বিতরন করা হয়েছে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী ও চেক বিতরন অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে হ্নীলা ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ যাবত কাল যতটি দাতা সংস্থা গরীব অসহায় পরিবারকে সাহায্য সহযোগীতা করেছে, তারমধ্যে রেড ক্রিসেন্টই সবচেয়ে বেশি অনুদান প্রদান করেছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যে পরিমান অনুদান প্রদান করেছে তাতে প্রতিটি পরিবারের পক্ষেই সহজে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। তিনি প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে প্রাপ্ত টাকা অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করে তাদের গৃহিত প্রকল্পে সঠিকভাবে ব্যবহার করে যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানান। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য এ.টি.এম.জিয়া উদ্দিন চৌধূরী, জাহাঙ্গীর আলম জানু ও অধ্যাপক আবদুর রহিম, আইসিআরসির ইকোসেক প্রকল্পের ডেলিগেট লিডিয়া তিনকামানিয়ার, আইসিআরসি প্রতিনিধি শাহদাত হোসেন ও সজল তনচঙ্গা। সভাপতির বক্তব্যে ইউনিট সেক্রেটারী মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, প্রাপ্ত টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে আপনারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করবেন। এর মাধ্যমে আপনার গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা তথা দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। তিনি আরো বলেন এ পর্যন্ত কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট ইকোসেক প্রকল্পের মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের ২ হাজার ৩২৩টি পরিবারের মধ্যে ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ৫৮ হাজার২৫০ টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করেছে। ওই টাকা অনুদান প্রাপ্তির পর এ টাকা সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় সব পরিবার তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করেছে।
চেক প্রাপ্তির পর সুবিধাভোগী ছমুদা বেগম(৫৩) নুর নাহার(৫৭) ইসমাইল গণি(৪৪) নজু মিয়া(৫৬) ও ইমাম হোসাইন(৩৩) এর নিকট তাদের অনুভূতি কি জানতে চাইলে তারা জানান, রেড ক্রিসেন্ট এতো টাকা দিবে, এটা আমরা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। এর কারন হিসেবে তারা বলেন বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন জনকে টাকা দিলেও কেউই এর আগে এতো টাকা দেয়নি। এখন আমাদের একটাই স্বপ্ন প্রাপ্ত টাকা দিয়ে আমরা আমাদের গ্রহণ করা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নিজেদের অবস্থার উন্নতি সাধন করবো।
এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইকোসেক প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আজরু উদ্দিন সাফদার, প্রকল্পের সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম, ফাইন্যান্স কর্মকর্তা কামাল হোসেন, ইকোসেক প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকতা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান সময়ে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কথা বিবেচনা করে গতকাল তিনধাপে ১৯৩ জনের মধ্যে চেক হস্তান্তর করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…