কক্সবাজারের ১৫ ইউপি ও দুই পৌরসভায় ভোট ১১ এপ্রিল

লোকমান হাকিম : কক্সবাজার জেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ ও দুই পৌরসভায় আগামী ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচনের ষষ্ঠধাপে মহেশখালী ও চকরিয়া পৌরসভা এবং একইদিন প্রথম দফায় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফের ১৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই পৌরসভায় ভোট হবে ইভিএমে। গতবারের মতো এবারও ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে দলীয় প্রতীকে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের ৭৬তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুর কবীর খোন্দকার। এসব নির্বাচনের তফসিল আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রথম দফায় নির্বাচনের জন্য মনোনীত ইউনিয়নগুলোর মধ্যে মহেশখালী উপজেলার চারটি, কুতুবদিয়ার ছয়টি ও টেকনাফের পাঁচটি।

এগুলো হচ্ছে- মহেশখালীর ধলঘাটা, হোয়ানক, মাতারবাড়ি ও কুতুবজোম। কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণ ধুরুং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা, সাবরাং, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর ও হোয়াইক্যং।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আইনানুযায়ী আগামী ২১ মার্চের মধ্যে সারাদেশের ৭৫০ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত না থাকায় মার্চে ভোট হবে না। আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

ইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কমিশন থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়ার পর প্রথম ধাপের ভোটের জন্য সিডি প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে। প্রথম ধাপের পর পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে রমজানের পর।

গত বারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় চাউর হয়েছে যে, চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং মেম্বার প্রার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি পাশ হতে হবে। এটিকে স্রেফ গুজব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো পরিকল্পনাও নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্যদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। সেখানে ইউপিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা সংবিধান বিরোধীও।

২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর। পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা না গেলে সরকার লিখিত আদেশ দিয়ে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারবে।

nupa alam

Recent Posts

টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…

1 day ago

চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ

চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…

1 day ago

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…

1 day ago

সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…

2 days ago

পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…

2 days ago

সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…

2 days ago