টেকনাফ প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (হেলথ সিস্টেমস স্ট্রেংদেনিং-এইচএসএস) রেটিংসে সারা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিভাগ ও কক্সবাজার জেলার কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থান অধিকার করলেন। সেটির নাম টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এরআগে টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিমাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৫বার প্রথম স্থান, ১১ বার দ্বিতীয় স্থান ও ৭বার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ২০২০ সালে প্রসব পরবর্তী সেবা, সিজারিয়ান অপারেশন, মাইনর সার্জারি, ব্রেস্ট ফিডিংসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য এ রেটিংস অর্জন করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সারাদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে বিভিন্ন ইনডিকেটর বা পরিমাপক দ্বারা পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (এইচএসএস) রেটিংসে স্কোরের মাধ্যমে র্যাংকিং করে থাকেন।
অন্যদিকে, গতবছরের ১৭ এপ্রিল প্রথমকরোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল টেকনাফে। এরপর চিকিৎসক, সেবক সেবিকারা সম্মুখে যোদ্ধারা স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন। আজ পর্যন্ত উপজেলায় ৫৩৬জন করোনা রোগীকে সনাক্ত করা হয়। এরমধ্যে ৯জন মারা গেছে। ৫২১জন সুস্থ হলেও বর্তমানে ৬জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১২জন চিকিৎসক ও আটজন কর্মচারী করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিলেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার- পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, প্রথম বারের মতো চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সারা বাংলাদেশের স্বনামধন্য তার প্রমাণ হয়েছে। ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয়ে গঠিত চিকিৎসক দল এক যুগে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় এ সফলতা পেয়েছি। চেষ্টা করে গেছি পূর্ববর্তীদের অর্জিত এই সুনাম ধরে রাখার। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এইচএসএস স্কোরিং এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সেবার এই মানোন্নয়নের মূলে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সিভিল সার্জন স্যারের সুযোগ্য নির্দেশনা, সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং চিকিৎসক, নার্স, এসএসিএমও, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিসংখ্যানবিদসহ সকল স্তরের কর্মীদের কর্ম প্রেরণা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কক্সবাজার জেলা ও সারাদেশে প্রথম স্থান অধিকার হওয়াই ইউএইচওসহ সকল চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আগামীতেও এ সাফল্য ধরে রাখার পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সাধ্যমতো উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করার জন্য তিনি তাগিদ দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান…
চকরিয়া প্রতিবেদক: চকরিয়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজার…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে ‘বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার’ যুবকের তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী এলাকার গোপন…
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারি ( পিএস…