নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) কারাগারের বন্দী এবং এর কর্মীদের মধ্যে করোনভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে বাংলাদেশের কারা অধিদপ্তরের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। অতি সম্প্রতি, কারারক্ষীদের জন্য পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আবাসন (তাঁবু) স্থাপনে সহযোগিতা করেছে আইসিআরসি। এই প্রকল্পের আওতায় আইসিআরসি কারারক্ষীদের আবাসনের জন্য পাঁচটি তাঁবু হস্তান্তর করেছে, পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থাপন করেছে; পাশাপাশি, জীবাণুনাশক এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছে।
তিনটি কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনে কারা অধিদপ্তরকে সহায়তা করেছে আইসিআরসি; পাশাপাশি, ফেনী এবং কিশোরগঞ্জ কারাগারে আইসোলেশন সেন্টারের অবকাঠামো ও সেবার ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছে। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ৭০-শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালুর কাজ চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রণ প্রতিরোধে এ সহায়তাগুলোর মধ্যে রয়েছে: কেন্দ্রগুলির পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ও বাস্তয়ায়ন, নীতিমালা তৈরির জন্য কারিগরি সহায়তা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন। চিকিৎসা সেবায় এবং স্যানিটেশন সরঞ্জামগুলির পাশাপাশি আসবাবপত্রও এসব আইসোলেশন সেন্টারে সরবরাহ করা হয়েছে।
আইসিআরসি’র অব্যাহত সহায়তার কথা ব্যাখ্যা করে, আইসিআরসি বাংলাদেশের প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর হেনিং ক্রাউসে বলেছেন: “বাংলাদেশে কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই আমরা কারাগারগুলিতে মহামারী রোধে প্রয়োজনীয় দিকগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করতে পেরেছি এবং বন্দী ও কারাগারের অন্যান্য সদস্যদের এ মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে কারা অধিদপ্তরের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।”
মহামারির কারণে কারাগারগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এবং এ কারণেই আইসিআরসি কোভিড-১৯ মহামারিতে সহায়তা কার্যক্রম আরো জোরদার করেছে; যেন কারাবন্দী এবং কর্মীদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমনের বিস্তার রোধ করা যায়। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে জরুরি, আর তা বিবেচনায় রেখে আইসিআরসি কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রনয়ণ, প্রশিক্ষণ সেশন এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল পদ্ধতি (এসওপি) তৈরি করেছে। কারা অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এপ্রিল ও মে মাসে দেশের ৬৮টি কারাগারে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছিল। এর আগে কারা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের মেডিকেল স্ক্রিনিং সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে ১৩৫টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার হস্তান্তর করা হয়েছিল।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব রোধে কারা অধিদপ্তরের সচেতনতা ও প্রস্তুতি জোরদার করতে আইসিআরসি’র প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন: “আইসিআরসি সক্রিয়ভাবে করোনা সংকটের সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কারাগারে আমাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে। আমরা ভবিষ্যতেও কারাগারে বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে আইসিআরসি’র অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।”
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কারা অধিদপ্তরের সাথে সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উপকরণ এবং পিপিই অচিরেই দেশের সব কারাগারে হস্তান্তর করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে;…
জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী : লেখক, কলামিস্ট ও শিক্ষক, দক্ষিণ খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।শিক্ষার্থীর নাম :…
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার…
শহীদ উল্লাহ : লাইলা বেগম, যেন এক সংগ্রামি নারীর নাম। স্বামী কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন…
এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশেপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান…