শিশুকে যেসব কথা বলা ঠিক নয়

বিডিনিউজ: কিছু কথা আছে যা সন্তানের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

সন্তানের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকের ধৈর্য্য মূল চাবি কাঠি হিসেবে কাজ করে। তবে অনেক সময় সামাজিক চাহিদা, কাজের চাপ ও ঘরের কাজ কর্মের চাপে পড়ে অভিভাবকরা নিজেদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন।

শিশুর মানসিক বিকাশ-বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে এমন কয়েকটি বিষয় এখানে তুলে ধরা হল যা শিশুদের বলা ঠিক নয়। এতে করে তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। 

জলদি কর

অধিকাংশ শিশুরাই সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে বা চাপে পড়ে কোনো কাজ করার সময় ধীরে ধীরে করে। শিশু যত দেরিতেই কাজ করুর না কেনো তাকে ওই সময় তাড়া দেওয়া অনেক বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সেময় বকাঝকা দিলে তা তাদের কাজের গতি না বাড়িয়ে কেবল তাদের ভেতরে অপরাধবোধই সৃষ্টি করে।

সন্তানকে তাড়া না দিয়ে বরং তাকে খেলাচ্ছলে কাজ করাতে চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমন- দেখি কে আগে তৈরি হয়ে দরজা পর্যন্ত যেতে পারে। এতে করে শিশু সহযোগিতাপূর্ণভাবে কাজ করা শেখে।

আমাকে একা থাকতে দাও

আমাদের সবারই কাজের মাঝে বিরতি প্রয়োজন। তবে সরাসরি একথা শিশুকে বলা তার মাঝে একাকিত্বের সৃষ্টি করে।

কিছুটা সময় একা কাটাতে চাইলে সন্তানকে অন্যভাবে বুঝিয়ে বলুন। তাকে বলতে পারেন যে, আপনার জরুরি একটি কাজ আছে তা শেষ করার পরে আপনি সন্তানের সঙ্গে খেলবেন। নিজের সমস্য কাটানোর পরে অবশ্যই সন্তানকে দেওয়া কথা রাখবেন। এতে তার বিশ্বাসের জায়গা মজবুত হবে।

তোমার ভাই, বোন বা বন্ধুর মতো হতে পারনা?

অন্যের সঙ্গে তুলনা করে সন্তানের মনে অপরাধবোধ সৃষ্টি করবেন না। চেষ্টা করুন এই ধরনের কথা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া যায়।   

যখন সন্তানকে অন্য শিশুকে দেখিয়ে তার মতো হতে বলবেন তখনই আপনি তাকে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় উৎসাহিত করবেন। তাছাড়া, শিশুকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে আপনি তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে তাকে আপনার পছন্দ না, এতে শিশু মনে কষ্ট পায়।

বরং, সন্তানকে প্রশংসা করুন ও আরও ভালো হতে উৎসাহ দিন। সন্তানকে নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলতে তাকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে বরং ইতিবাচকভাবে উৎসাহ দেওয়া উপকারী।

কাঁদবে না

সন্তান কখনও কষ্ট পেয়ে যদি কান্না করে তাহলে আমরা প্রায়ই তাকে কাদঁতে বারণ করে থাকি। এতে সন্তানের অনুভূতিপ্রবণতাকে দুর্বল করে দেওয়া হয়। ফলে সন্তান নিজের অনুভূতিকে আড়াল করতে শেখে যা পরে খুব খারাপ ভাবে প্রকাশ পায়।

তাই, সন্তানের কখনও কান্না পেলে তাকে বাঁধা না দিয়ে বরং সহানুভূতি প্রকাশ করুন।

তোমার বয়সে আমি এ কাজ করতে পারতাম

প্রতিটা শিশুর বিকাশের গতি ভিন্ন। তাকে আপনার সঙ্গে তুলনা করলে তার মনে হতাশার সৃষ্টি হয়। তাই সন্তানকে নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলতে কটাক্ষ না করে বরং তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন ও কাজে উৎসাহ দিন। শুধু নিজের সঙ্গে নয় সন্তনকে সবার সঙ্গেই তুলনা করা বন্ধ করতে হবে।

tawhid

Recent Posts

টেকনাফ সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে;…

18 hours ago

বুদ্ধাঙ্ক (IQ) এর পরিমাপ অনুযায়ী প্রতিভাবান শিশুদের বুদ্ধাঙ্ক মাত্রা

জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী : লেখক, কলামিস্ট ও শিক্ষক, দক্ষিণ খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।শিক্ষার্থীর নাম :…

19 hours ago

চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার…

19 hours ago

জীবন সংগ্রামি লাইলার কম মূল্যের সবজির দোকান

শহীদ উল্লাহ : লাইলা বেগম, যেন এক সংগ্রামি নারীর নাম। স্বামী কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন…

23 hours ago

শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের…

23 hours ago

মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশেপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান…

2 days ago