সমকাল : যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাস এমনভাবে নিজের মিউটেশন (রূপান্তর) ঘটাচ্ছে, যাতে এটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আর এক্ষেত্রে সংক্রমণের লাগাম টানার কৌশল হচ্ছে পুল টেস্টিং। এদিক থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সঠিক পথে হাঁটছে না।
বৃহস্পতিবার দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে (জেএএমএ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন হোয়াইট হাউসের করোনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য ড. ফাউসি। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রকট রুপে সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটাচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাস। বুধবার একদিনেই দেশটিতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে সবকিছু চালু করতে প্রস্তুত হওয়া অন্তত ২৩টি রাজ্য পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এসেছে।
করোনার ভয়াবহতা নিয়ে সব সময়ই সতর্ক করে আসা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক ফাউসি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারি পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে নেই। তবে সতর্কতার সঙ্গে সবকিছু চালুর মাধ্যমে করোনার সংক্রমণে ভারসাম্য আনা সম্ভব।
ফাউসি বলেন, আমি মনে করি, এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে আমরা করোনা নিয়ে সঠিক পথে চলছি না। তিনি বলেন, এটি সবকিছু খুলে দেওয়ার কিংবা জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সব বন্ধ করে রাখার বিষয় নয়। লকডাউন করে ঘরে বসে থাকা কিংবা যা ঘটছে ঘটুক বলে সব খুলে দেওয়ার সময় এটি নয়। তিনি বলেন, সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে, দেশকে চালু করতে হবে নিরাপদ উপায়ে। সেটি জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় নিয়েই।
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় বলা হচ্ছে, করোনা রূপান্তরের মাধ্যমে আরও বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
এ নিয়ে ফাউসি বলেন, এটি পরিলক্ষিত হচ্ছে যে বিশেষভাবে রূপান্তরের মাধ্যমে করোনা আরও বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তথ্য পাচ্ছি যে, একটি একক মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটি আরও বেশি প্রতিরূপ তৈরি করতে পারে এবং তাতে ভাইরাসের সক্ষমতা আরও বাড়ে।
যদিও গবেষণাগুলো বলছে, ওই রূপান্তরিত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ কতটা অসুস্থ হচ্ছে কিংবা শরীর আরও বেশি খারাপ হয় কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, তবে এক্ষেত্রে উপায় হচ্ছে, পুল টেস্টিং। এ কৌশলটি হচ্ছে একই স্থানে একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা। একটি বড় কমিউনিটিকে ভাইরাসমুক্ত করতে এটি খুবই কার্যকরী কৌশল। একক ব্যক্তিকে পরীক্ষার চেয়ে এ পুল টেস্টিংয়ে সময়, অর্থ ও সরঞ্জাম সবকিছুতেই সাশ্রয় হয়।
উল্লেখ্য, ভাইরাসের মিউটেশনের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা জানিয়েছেন, সব ভাইরাসের বিবর্তন ঘটে বা তাদের জীবনকালে মিউটেশন ঘটে। করোনার মতো আরএনএ ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে অন্য ভাইরাসের চেয়ে দ্রুত মিউটেশন ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা সম্ভাব্য মিউটেশন খুঁজে দেখতে জেনেটিক সিকোয়েন্সের ডেটাবেস তৈরি করেছে।
টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফে পৃথক অভিযানে ২ কেজি ১২৫ গ্রাম ক্রিস্টল মেথ আইস ও ৪৭৪০…
চকরিয়া প্রতিবেদক : চকরিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম সহ ৩৩৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ও শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা ( বাইসস) এর বৈঠক থেকে ১৯ জন…
টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৬০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন থেকে কয়েকটি ছোরাসহ ছিনতাইকারির ৬ সদস্যকে আটক করেছে…