শিগগিরই বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ

সমকাল : বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সু খবর আসছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকার আবার আবাসিকে গ্যাস গ্যাস সংযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমতি মিললেই দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু হবে। এক্ষেত্রে জমে থাকা আবেদনগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান বুধবার জানান, আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ প্রদানের বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিল্প-কারখানায় গ্যাসের ব্যবহার কমায় আমদানি করা এলএনজি গ্যাসের সরবরাহ কমাতে হয়েছে। কিন্তু চুক্তি অনুসারে গ্যাসের আমদানি বহাল রাখতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে পেট্রোবাংলা। তাই গ্যাসের ব্যভহার বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসেবে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ চালুর বিষয়টি ভাবা হয়।

জ্বালানি বিভাগ সূূত্রে জানা গেছে, সংকটের কারণ দেখিয়ে সরকার ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর একই কারণে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিক খাতে (বাসা-বাড়ির রান্নার চুলায়) নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করা হয়। প্রায় তিন বছর পর ২০১৩ সালের ৭ মে আবাসিকে সংযোগ দেয়া শুরু হলেও কিছুদিন পরই তা আবার বন্ধ করা হয়।

এদিকে প্রায় ১০ বছর (টানা ৭ বছর) গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে বিপাকে পড়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। নতুন বাড়ি নির্মাণের পর গ্যাস সংযোগ না পেয়ে বাড়িওয়ালা এবং ফ্ল্যাট মালিকরাও হতাশ। রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়ার মহোৎসব। গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার পরও গত কয়েক বছরে দেশের বিতরণ সংস্থাগুলো এক লাখের বেশি গ্রাহকের আবেদন জমা নেয়। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস কোম্পানির কাছেই ৮০ হাজার আবেদন জমা পড়ে আছে।

জনগণের আশা পূরণে জনপ্রতিনিধিদের দাবির মুখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়। এতে সংযোগ প্রত্যাশী লাখ লাখ গ্রাহক আশান্বিত হয়। তবে গত বছর ১৫ মে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে আবাসিক ও সিএনজি খাতে পাইপ লাইন গ্যাস সংযোগ দেয়ার বিষয়টি নিরুৎসাহিত করায় আশাহত হন সংযোগ প্রত্যাশীরা।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দেশে দৈনিক গ্যাসের গড় চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। দৈনিক গড় উৎপাদন প্রায় ২৫০ কোটি ঘনফুট। গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ব্যয়বহুল এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) আমাদনি হচ্ছে। এর সরবরাহ সক্ষমতা ধৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট।

tawhid

Recent Posts

লোকে-লোকারণ্য সমুদ্র সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জন প্রিয় স্পট সুগন্ধ পয়েন্ট; যেখানে সারা বছর পর্যটকের…

3 days ago

বাংলাদেশের রাষ্ট্রের যত বড় কর্তাই হউক তাদেরকে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করতেই হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাষ্ট্রের যত বড় কর্তাই হউক বা প্রতিষ্ঠান হউক তাদেরকে জনগনের কাছে…

3 days ago

চকরিয়ায় হাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়ায় তামাক চুল্লীতে জ্বালানি দিতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে এক নারী নিহত হয়েছে।…

4 weeks ago

টেকনাফে অপহৃত উদ্ধার : অস্ত্র সহ চক্রের ৩ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে নৌবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এক অপহৃতকে উদ্ধার এবং তিন…

4 weeks ago

টেকনাফের ‘ডাকাত খায়ের’ সহযোগী নারী সহ গ্রেপ্তার

টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফে পুলিশ ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযানে এক নারী সহযোগীসহ কুখ্যাত ডাকাত আবুল…

4 weeks ago