শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বাংলাদের জলসীমা থেকে থেকে আর অন্য দেশের কেউ মাছ শিকার করে নিয়ে যেতো পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আকতার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার, কক্সবাজার কেন্দ্রের আধুনিকায়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জেলেরা বারবার বলে আসছিলেন আগে যখন বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতো তখন অন্য দেশে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সেই দেশের জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। এরপর মৎস্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ টিম গবেষণার প্রেক্ষিতে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার, কক্সবাজার কেন্দ্রের আধুনিকায়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্য জাইকা দিচ্ছে ১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মৎস্যজীবীদের জন্য উন্নত কাজের পরিবেশ তৈরি হবে। কমবে অবতরনের সময়কাল। এছাড়াও মানসম্পন্ন সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছ সংগ্রহ–পরবর্তী ক্ষতি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আক্তার জাহান এবং জাইকার প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদেসহ সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে সকালে উপদেষ্টার সংবাদ সংগ্রহে গেলে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের বাঁধার মুখে পড়েন সাংবাদিকরা। এসময় ‘তালিকাভুক্ত ১০ জন’ ছাড়া আর কেউ সরকারি এ কর্মসূচি কাভার করতে পারবে না এবং অনুষ্ঠানস্থলে গেলে আইনশৃঙ্খনা বাহিনী দিয়ে দমনের হুমকি দেন বলে জানান মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের স্থানীয় কর্মকর্তা। পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply