সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন
টেকনাফ প্রতিবেদক : টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার থেকে দুইজনকে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এখন মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার বাহারছড়া মারিশবনিয়া বসতবাড়ি থেকে দুজন অপহরণের শিকার হন বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ।
অপহরণের শিকার দুজন হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকার বাসিন্দার নুর কামাল (৫০) ও রঙ্গিখালী এলাকার বাসিন্দার নুর হোসেনের ছেলে বেলাল উদ্দিন (১৮)।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার বাহারছড়া মারিশবনিয়া তৈয়বা বেগমের বসতবাড়ি থেকে দুজন অপহরণের শিকার হন।
ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, গত শুক্রবার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার বাসিন্দার তৈয়বা বেগমের সঙ্গে নূর কামালের বিয়ে হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় তৈয়বার বসতবাড়িতে ঢুকে স্বামী নুর কামাল ও ভাইয়ের ছেলে বেলাল উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তৈয়বা বেগম আমাকে অবগত করলে সঙ্গে সঙ্গে আমি বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহাকে অবহিত করা হয়েছে।
নুর কামালের স্ত্রী তৈয়বা বেগম বলেন, গত শুক্রবার টেকনাফের হ্নীলার জাদিমোরা এলাকার বাসিন্দার নুর কামালের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় বিবাহ হয়। শনিবার রাতে ৫জনের একটি পাহাড়ী সন্ত্রাসী দল বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বলেন, টাকা ৬ লক্ষ ও স্বর্ণ যা আছে, সব বের করে দাও। তোমার স্বামী নুর কামালকে অপহরণ করার জন্য আমরা ২০লাখ টাকার কন্টাক্ট নিয়েছি। এই কথা বলে দেড় ভড়ি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৫হাজার নগদ টাকাসহ আমার স্বামী নুর কামাল এবং ভাইয়ের ছেলে বেলাল উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। রবিবার বিকেলে দিকে আমার মোবাইল নাম্বারে ফোন আসে। স্বামীসহ দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। অন্যতায় লাশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হুমকি দিয়েছেন অপহরণকারীরা।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, অপহরণের বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকেই শুনেছি। তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ করছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এনিয়ে গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply