বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পেকুয়া থানায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি জাফর আলমসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৬০ জনসহ ৯৫ জনকে অভিযুক্ত দেখিয়ে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে পেকুয়ায় থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলাম টিপুসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতাকর্মী। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৫০-৬০ জনকে।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বিগত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঘোষিত উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ, মারধর ও ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেন আওয়ামী লীগের এইসব নেতাকর্মীরা।
উক্ত ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সাঈদী, আবু তৈয়ব, এরশাদুল আলম, রেজাউল করিম মানিক, তামিম হোছাইন, মোহাম্মদ রাজু সহ আরো অনেকে গুরুতর আহত হন।
সে সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের প্রভাবে এই ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ।
মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা একটি সুষ্ঠুভাবে মিছিলও করতে পারিনি।উপজেলা ছাত্রদলের স্বাগত মিছিলে পেকুয়া বাজারে সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করা হয় এবং গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে আমি সহ আমার ছাত্রদলের অংসখ্য নেতাকর্মী আহত হই। থানায় তখন ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বসে ছিল বলে আমরা মামলাও করতে পারিনি। ন্যায় বিচারও পাইনি। আমি আশা করি নতুন বাংলাদেশে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, হামলা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply