শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পেকুয়ায় শিক্ষক মো. আরিফ হত্যার ঘটনায় আটক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রবিবার (১৩) অক্টোবর দুপুরে কক্সবাজার র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতে র্যাব-১৫ ও র্যাব-৭ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
চকরিয়া আদালতের পিপি মো. শহিদুল্লাহ জনান, শিক্ষক আরিফ হত্যার ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পেকুয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষককে অপহরণপূর্বক নির্মমভাবে হত্যার পর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের যৌথ টিম জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করার পর মামলায় অধিকতর তদন্ত ও ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তে আটক জাহাঙ্গীর আলমকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে একই ঘটনায় জড়িত রুবেল পাঁচ দিনের রিমান্ডে থানা হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকা থেকে শিক্ষক আরিফ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী পেকুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে আটকের পর আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর আরিফকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ১৪ দিন পর গত ১১ অক্টোবর আরিফের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে আরিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মোহাম্মদ আরিফের বসতভিটার পাশে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার ভাই যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আজমগীরের বসতভিটা। দুই ভিটার দুজনের বসত ঘরের দূরত্ব ১২ থেকে ১৫ ফুটের মধ্যে। দুই পরিবারের মধ্যে বসতভিটা এবং জমিসংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি দীর্ঘদিনের পুরানো। আর এই জের ধরেই গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৪৫ এর দিকে নিজ এলাকা থেকে শিক্ষক আরিফকে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে স্বজনরা দাবি করে আসছিল যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং তার ভাই যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আজমগীর মিলেই শিক্ষককে অপহরণ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবিত মিলেনি শিক্ষক আরিফকে।
নিহত আরিফ পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply