সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
থানা থেকে গ্রেপ্তার চেয়ারম্যানকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা কুতুবদিয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উদ্যােগে সেবা সহজীকরণ ও হয়রানি রোধ সভা অনুষ্ঠিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজারের স্বারকলিপি কক্সবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযান : বর্তমান-সাবেক ৩ জনপ্রতিনিধি গ্রেপ্তার টেকনাফে ১৩ ঘন্টা পর নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে বস্তাবন্দি শিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ২ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কক্সবাজারে শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও অনুদান প্রদান করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ কুতুবদিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস পালিত টেকনাফে নিখোঁজ মেয়ে শিশুর বস্তিাবন্দি মরদেহ উদ্ধার ৩৫ হাজার ইয়াবা সহ পুলিশ কনস্টেবল সহ আটক ২

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজারের স্বারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে কক্সবাজারের বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।

সোমবার বেলা ১২ টায় কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচীতে সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচী শেষে আন্দোলনকারিরা জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন।

বিগত ২০০৯ সালে চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের পক্ষে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের হাবিলদার মো. একরামুল হুদা নেতৃত্বে এ স্বারকলিপিটি দেওয়া হয়েছে।

স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিবেশী একটি দেশকে সন্তুষ্ট করতে, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং বাংলাদেশ রাইফেলসকে (বিডিআর) ধংস করে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড’ সংঘটিত করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধংস ও নিরীহ ৫৪ বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত ‘বিডিআর বিদ্রোহের’ নামে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্বারকলিপিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে ৯টি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হল- পিলখানার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে কথিত বিদ্রোহ না বলে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে। ওই ঘটনায় গঠিত সব প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও কুশীলবদের চিহ্নিত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানায় শাহাদাতবরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে।

বিগত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিনকে ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান পরিষদের নেতারা।

দাবির অন্যগুলো হল- যেসব নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের তালিকা করে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারীদের জামিন ও মামলা হতে অব্যাহতিসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।

এসময় বিডিআর কল্যাণ পরিষদ কক্সবাজারের উপদেষ্টা হাবিলদার শামসুল হক, মো. শফিউল আলম, মো. কামাল হোসেন, সভাপতি হাবিলদার মো. একরামুল হুদা সাধারণ সম্পাদক ল্যান্স নায়েক নুরুল আবছারসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888