শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
কক্সবাজার সৈকতের ক্ষুদ্র একটি অংশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন একটি খবর মিডিয়ায় দেখে হতবাক হলাম। জাতির জনককে ক্ষুদ্র গন্ডিতে নামিয়ে এনে কারা ফায়দা তুলতে চায় জানিনা। তবে এদের উদ্দেশ্য মোটেই সুবিধের নয়।
কক্সবাজার সৈকতের অনেকগুলো অংশ রয়েছে। যেখানে পর্যটকরা নেমে এর সৌন্দর্য উপভোগ করে। যেমন: ডায়াবেটিক পয়েন্ট, বালিকা মাদ্রাসা পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট, সীগাল পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, দরিয়া নগর পয়েন্ট, হিমছড়ি পয়েন্ট, ইনানী পয়েন্ট, বে ওয়াচ পয়েন্ট, রয়েল টিউলিপ পয়েন্ট, পাটুয়ার টেক পয়েন্ট, টেকনাফ পয়েন্ট এমন আরো অনেক। সুদীর্ঘ সৈকতের এই ক্ষুদ্র অংশগুলোর নামকরণ সরকারি ভাবে হয়নি। ওই অংশে কোন স্থাপনা বিবেচনায় মানুষের মুখে মুখে এমন নাম প্রচলিত হয়েছে। এখন সৈকতের অনেকগুলো পয়েন্টের একটি সুগন্ধা পয়েন্টের নাম জাতির জনকের নামে হবে এমন আজব সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই জাতির জনকের মান মর্যাদার সাথে যায় না। পৃথিবীর দীর্ঘতম কক্সবাজার সৈকত পুরোটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ হলেও এই মহান মানুষের অবদানের মূল্যায়ন অতি ছোট হয়। সেখানে সৈকতের অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ জাতির জনকের নামে নামকরণ, কোন ভাবেই মানা যায়না। আমি মনে করি, সাধারণের কাতারে নামিয়ে এনে এই মহান পুরুষকে অসম্মানিত করার জন্যই এমন প্রয়াস।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের কোন সদস্যর নামে কোন স্থাপনা নামকরণ করতে হলে প্রধানমন্ত্রী বা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সম্মতি থাকতে হয়। এই ক্ষেত্রে এমন কোন অনুমতিও নেই। সুতরাং কারো তুচ্ছ মনের সংকীর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জাতির জনক কন্যা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে কেমন প্রতিক্রিয়া হয়, তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
কক্সবাজারের সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছিল, পর্যটন নগরীর প্রবেশ পথে জাতির জনকের বড় একটি ভাস্কর্য স্থাপনের। সরকারি ভাবে এই দাবি বাস্তবায়নের ঘোষনাও দেয়া হয়েছিল। এমন মহৎ কাজের দেখা নেই। আকামের লোকের অভাব নেই। সেলুকাস, বিচিত্র এই দেশ।
(লেখাটি ফেসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহিত)
লেখক : সভাপতি, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply