শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে আরও ২ টি মৃত ‘মা কচ্ছপ’ ভেসে এসেছে। যে ২ টির পেটে মিলেছে ১৮৫টি ডিম। এনিয়ে গত ৬ দিনে সমুদ্র উপকুলে ভেসে এসেছে ৮ টি ‘মা কচ্ছপ’। যে ৮ টি কচ্ছপে পাওয়া গেছে ৭ শত ডিম। জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ভেসে এসেছে ৩১ টি মৃত ‘মা কচ্ছপ’।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রæয়ারি) সকালে উখিয়ার সোনাপাড়া সৈকতে সর্বশেষ ২ টি মৃত মা কচ্ছপ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, এই ২টিও অলিভ রিডলি মা কচ্ছপ। পেটে ১৮৫ টি ডিম পাওয়া গেছে। দুইটির সামনের ও পিছনের ফ্লিপারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। ডিম দিতে উপকুলে আসার সময় জালে বা অন্য কোনভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এদের মৃত্যু হতে পারে।
এর আগে ১৯ ফেব্রæয়ারি সৈকতের হিমছড়ি প্যারাসেলিয়ং পয়েন্টে ভেসে এসেছে ৯৫ টি ডিম পেটে থাকা একটি মা কচ্ছপ। রবিবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে আবারও ভেসে আসে তিনটি মৃত মা কচ্ছপ। যার পেটে মিলেছে ৩১০ টি ডিম। এর আগে ১৭ ফেব্রæয়ারি সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে আবার একটি মৃত মা কাছিম ভেসে এসেছে। যা পেটে ছিল ৯০ টি ডিম। এর আগে ৩ দিনে উপক‚লে দেখা মিলেছে ৩ টি মৃত ডলফিন, ১ টি মৃত পরপইস ও ১ টি কচ্ছপ। এর মধ্যে শুক্রবার (১৬ ফেব্রæয়ারি) সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রæয়ারি) হিমছড়ি সৈকতে মৃত ভেসে আসে আরও একটি ইরাবতী ডলফিন। বুধবার (১৪ ফেব্রæয়ারি) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত পরপইস। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রæয়ারি) সৈকতের রেজুনদীর মোহনায় একটি অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের সামুদ্রিক মা কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল।
বোরি’র দেওয়া তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রæয়ারি) পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে অন্তত ৩১টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে। শুধু মাত্র ৬ দিনে সৈকতে পাওয়া গেছে ৮ টি মৃত মা কচ্ছপ। এই সময়ের মধ্যে ৩ টি মৃত ডলফিন, ১ টি মৃত পরপইস ভেসে এসেছে। এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটা কখনও হয়নি।
গত বছর ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রæয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুইদিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply